সড়কে ফিরেছে ট্রাফিক পুলিশ
কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে ছয় দিন পর সড়কে ফিরেছে পুলিশ। সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। এর ফলে প্রায় এক সপ্তাহ পর শিক্ষার্থী স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সড়কের দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।
রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর আন্দোলনকারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ক পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল শোয়াইব হাসান সোমবার থেকে কাজে যোগ দেয়ার ঘোষণা দেন। পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারের আশ্বাসে কর্মবিরতিসহ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন।
তারা গণমাধ্যমকে জানান, আমরা সরকারের কাছে যেসব দাবি জানিয়েছিলাম তার বেশিরভাগই মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। তাই আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি। আশা করি সবাই সুন্দরভাবে নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরবেন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর বেশকিছু দাবিতে গত ৬ আগস্ট থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন।
এর আগে রবিবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন। বৈঠকে পুলিশের আইজিপি, র্যাবের ডিজিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় এম সাখাওয়াত হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, দেশে পুলিশ ফিরে না এলে কী অবস্থা হতে পারে তা আপনারা জানেন। একটু আগে ব্যাংকের মধ্যে মারামারি দেখলাম। মনে হচ্ছে, যার মতো যা পারে দখল করতে করছে। আমি প্রথমেই বলতে চাই, যারা এখনো কর্মস্থলে ফেরেননি তাদের ফেরার সর্বশেষ তারিখ হচ্ছে বৃহস্পতিবার।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে যোগদান না করলে আমরা ধরে নেব, আপনারা চাকরি করতে ইচ্ছুক নন। এ বিষয়ে পুলিশের আইজিপি, র্যাবের ডিজি এবং ডিএমপির কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে যে যার স্থানে চলে যাবেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে আপনারা ডিউটিতে থাকবেন। কারও গায়ে অহেতুক কেউ হাত দিবেন না। বিচারের প্রক্রিয়াটা করব আমরা। কিন্তু বিচার বিভাগ তাদের বিচার করবে। বড় বা ছোট যারা দোষী হবেন তাদের পানিশমেন্ট দেয়া হবে। কাউকে ঢালাওভাবে দোষারোপ করা যাবে না।