Logo
Logo
×

রাজধানী

মাঠে আদালত স্থাপনের প্রতিবাদে ঢাকা আলিয়ার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১৪ পিএম

মাঠে আদালত স্থাপনের প্রতিবাদে ঢাকা আলিয়ার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে মাদ্রাসার কয়েকশ শিক্ষার্থী আলিয়া মাদ্রাসার সামনে সড়কে বিক্ষোভ করেন। শিক্ষার্থীরা সাড়ে ১১টার দিকে বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার গাড়ি আটকে দেন। পরে তারা রাস্তা ছেড়ে দিলে বিচারক তার অফিসে যান। তিনি আদালতে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর আবার বের হয়ে যান।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দাবি, মাদ্রাসা মাঠে বিচারকাজ চলায় তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। তারা চান আদালত এখানে সরিয়ে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেওয়া হোক।

বিডিআর বিদ্রোহের জন্য আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের আজ বিচারকাজ হওয়ার কথা। ভোরে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা সেখানে গেলে তাদের ঢুকতে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা।

এতে আদালতের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আশপাশের সড়কগুলোতেও যনজট লেগে আছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়ক, বকশীবাজার মোড় এবং আশপাশের গলির প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। তাতে বকশীবাজার মোড় থেকে শিক্ষা বোর্ড এবং চকবাজারের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

শফিউল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সিটি কর্পোরেশন এই মাঠ দখল করে রেখেছিল। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর এই মাঠ আর কারও হতে দেব না, আমাদেরই থেকে যাবে। আমাদের দাবি পূরণ না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব।

অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন বলেন, আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন স্থানীয় লোকজন ও ছাত্ররা। পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন