Logo
Logo
×

রাজধানী

গুলশান ছেড়ে ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫১ পিএম

গুলশান ছেড়ে ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা

ছবি : সংগৃহীত

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলনে নামা সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে সরে গিয়ে নিজেদের ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে অবরোধ অব্যাহত রেখেছেন।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে গুলশান ১ নম্বর গোলচত্বরে গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের দিকে রওনা হন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিকেল ৪টা পর্যন্ত আমাদের আল্টিমেটাম ছিল, কিন্তু দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। ফলে পূর্ববর্তী ঘোষণা অনুযায়ী সড়ক অবরোধ করা হয়েছে এবং আগামীকাল আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিয়ে মহাখালী-গুলশান সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। রাত সোয়া ৮টার সময়ও এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

বিকাল সোয়া ৫টায় ক্যাম্পাস থেকে কয়েকশ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তারা মহাখালী রেলগেট ক্রসিং ও আমতলী ঘুরে ক্যাম্পাসের সামনে দিয়ে গুলশান ১ নম্বরের দিকে যান।

নায়েক নূর নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, আমরা ঢাকা উত্তর ব্লকেড ঘোষণা করেছিলাম। তার অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ মিছিল।

আজ বিকেলে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকার অবহিত।’ ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কমিটি ইতোমধ্যে তিতুমীর কলেজসহ সাতটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এই কলেজগুলোর শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা ও মানোন্নয়নই বর্তমানে সরকারের প্রধান লক্ষ্য এবং করণীয় সব বিকল্পই সরকারের বিবেচনায় থাকবে।

এ অবস্থায় তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই। আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় বা সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সরকার সব সময় সচেতন ও সহানুভূতিশীল রয়েছে।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন