তিনবার মামলা হলেই বন্ধ এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ফাইল ছবি
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের সময় যদি কোনো গাড়ির বিরুদ্ধে তিনবার মামলা হয়, তাহলে সেই গাড়ি আর কখনোই এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট অপরাধী গাড়িগুলোর তালিকা পুলিশ ও প্রতিটি টোল প্লাজায় সরবরাহ করা হবে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কুড়িলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সেন্ট্রাল কন্ট্রোল বিল্ডিংয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স) কোম্পানি লিমিটেডের যানচলাচল, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ক্যাপ্টেন (অব.) হাসিব হাসান খান।
তিনি জানান, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে ওভারস্পিডিংয়ের বিরুদ্ধে ভিডিও মামলা দেওয়া হবে। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। যান চলাচলে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এক্সপ্রেসওয়ের জন্য বেশ কিছু নীতিমালা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা চালকদের মানতে হবে।
এক্সপ্রেসওয়ের প্রধান নিয়মাবলি-
গতি নিয়ন্ত্রণ: যানবাহন নির্ধারিত গতিসীমার মধ্যে চলতে হবে, স্পিড ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করা হবে।
তিনবার আইন লঙ্ঘনে নিষেধাজ্ঞা: একই গাড়ি তিনবার গতিসীমা লঙ্ঘন করলে সেটি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হবে।
লেন পরিবর্তনে নিষেধাজ্ঞা: অপ্রয়োজনীয় লেন পরিবর্তন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাড়ি থামানো নিষেধ: এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো গাড়ি থামানো বা পার্কিং করা যাবে না।
যানবাহনের সমস্যা হলে: জরুরি লেনে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
অতিরিক্ত ধোঁয়া নির্গমন: অতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গত করা গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ।
নিরাপত্তাহীন যান চলাচল: যাত্রীরা দাঁড়িয়ে থাকলে, অনিরাপদভাবে পণ্য বহন করলে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।
যাত্রী নামানো নিষিদ্ধ: এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রী নামালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ড্রাইভিংয়ের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ।
নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ।
দুই বা তিন চাকার গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ।
খোলা ট্রাকে যাত্রী বহন নিষিদ্ধ।
এছাড়া, এক্সপ্রেসওয়েতে ২৪ ঘণ্টা টহল অফিসার ও নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়োজিত থাকবে। যাত্রী ও চালকদের তাদের সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।