খিলগাঁওয়ের স-মিলে লাগা আগুন দুই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১০ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের একটি স-মিলে লাগা ভয়াবহ আগুন প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আগুন এখনো পুরোপুরি নির্বাপিত হয়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগুন লাগার পর প্রাথমিকভাবে দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। শেষ পর্যন্ত রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন।
আগুনের বিস্তার ও ক্ষয়ক্ষতি
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, স-মিল থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গাড়ির গ্যারেজে। পরে গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন যানবাহনে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে আশপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে, যার ফলে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওয়ার্কশপে থাকা দাহ্য পদার্থ ও সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখনো ভেতরে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বা কেউ হতাহত হয়েছে কি-না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাউদ হোসেন জানান, খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের পাশে ও খিলগাঁও মডেল কলেজের সামনে টুটুলের ওয়ার্কশপ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন ওয়ার্কশপসহ মোট ৯টি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে, যার মধ্যে ৮টি ওয়ার্কশপ ও একটি স-মিল রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, গাড়ির গ্যারেজ ও রাবারের কাঁচামালের গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কিছু গাড়ি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও অনেক গাড়ি পুড়ে গেছে। গ্যারেজে থাকা অনেক সিলিন্ডার এখনো বিস্ফোরণের শঙ্কা তৈরি করছে।
আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে।
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।