
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীতে আসরের আজানের পর থেকেই সড়কে বাড়তে থাকে যানবাহনের চাপ, যা ইফতারের আগমুহূর্ত পর্যন্ত অসহনীয় যানজটে রূপ নেয়।
বিকেল চারটা থেকে একের পর এক অফিস ছুটি হওয়ায় রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোসহ অলিগলিতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে যেসব এলাকায় ফ্লাইওভার ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প সংযুক্ত হয়েছে, সেখানে যানজট আরও প্রকট বলে জানান ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।
শান্তিনগরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আবদুস সালাম বলেন, "সবার ইচ্ছে থাকে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করা। কিন্তু একই সময়ে সবাই বের হওয়ায় যানজট নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।"
যানজট নিয়ে মোটরসাইকেল চালক আলাউদ্দিন বলেন, “অটোরিকশার চাপে বাইকের লেনও বন্ধ হয়ে গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে থাকতে হয়।”
অন্যদিকে, যত্রতত্র বাস থামানো, ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি ও মোটরসাইকেলের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল যানজটের জন্য দায়ী বলে মনে করেন রিকশাচালকরা।
মতিঝিল থেকে বাড্ডা যাতায়াতকারী ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "চারটায় অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা ছয়টা বাজে। অনেক সময় সিঁড়িতে উঠতেই আজান দিয়ে দেয়!"
নগরবাসী ও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যানজট নিরসনে আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হলে রমজানের পাশাপাশি অন্যান্য সময়েও সড়কের চাপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।