Logo
Logo
×

সারাদেশ

ভাঙচুর-লুটপাটের বিরুদ্ধে বরিশালে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম

ভাঙচুর-লুটপাটের বিরুদ্ধে বরিশালে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ভাঙচুর-লুটপাটের বিরুদ্ধে বরিশালে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, বাসা-বাড়িতে ভাঙচুর, হামলা ও লুটপাট এবং সাংবাদিক মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশালের সমন্বয়করা। এ সময় তারা সুবিধাবাদী এসব দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে বিক্ষোভ-পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন সমন্বয়করা।

সমন্বয়ক লাবন্য রহমান বলেন, আমরা ছাত্র সমাজ লড়াই করে দেশটাকে অর্জন করেছি। ছাত্ররা যে হাতে কলম ধরেছি সে হাতে কখনোই অস্ত্র ধরবো না। সুবিধাভোগীরা সহিংসতা চালিয়ে ছাত্র সমাজকে যে দায়ভার দিতে চাচ্ছে তা আমরা মেনে নেবো না। শুরু থেকে আমাদের আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। ছাত্ররা কখনোই সহিংসতার পক্ষে ছিল না, কেননা রাষ্ট্রীয় সম্পদ আমাদেরও সম্পদ। এগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের। যদি কেউ এগুলোর ওপর আঘাত আনে, তাহলে আমরা ছাত্ররা শক্ত হাতে তা দমন করবো।

আরেক সমন্বয়ক মহিউদ্দিন বলেন, আমরা তো বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বিজয় অর্জন করেছি। সুতরাং আর কোনো বৈষম্য হলে তা প্রতিহত করা হবে। আমাদের বিজয় অর্জনের পর যেসব খবর পাচ্ছি-এই সহিংসতার সঙ্গে ছাত্র সমাজ জড়িত নয়। সুবিধাভোগী-ফ্যাসিস্টদের দোসররা ইচ্ছা করে নৈরাজ্য তৈরি করছে। তাদের কারণে আমরা আমাদের বিজয়কে ম্লান হতে দেবো না।

তিনি বলেন, আমরা পুলিশকে সহায়তা করতে চাই। তাদের কাছে আমরা স্বেচ্ছাসেবক পাঠাবো যেন নির্ভয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে শুনেছি, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমি বলবো, গণমাধ্যম পাশে না থাকলে আমাদের আন্দোলনের এত দ্রুত বিজয় অর্জন সম্ভব হতো না। সুতরাং সকলের প্রতি আহ্বান রাখবো গণমাধ্যমের ভাইয়েদের পূর্ণ সহায়তা করে কাজ করতে দেওয়ার জন্য। সাংবাদিক ভাইয়েরা এখন স্বাধীন। তারাও সঠিক ঘটনা তুলে ধরতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষক ড. জাহাঙ্গীর কবির ও অন্যান্য কলেজের সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, হাসিনা সরকারের পতনের খবর এলে বরিশালে রাস্তায় নেমে সোমবার বিজয় উল্লাস করে লাখ লাখ মানুষ। এ সময়ে কিছু দুর্বৃত্ত সার্কিট হাউজ, নগর ভবন, এ্যানেক্স ভবন, বরিশাল ক্লাব লিমিটেড ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ ছাড়া সাদিক আব্দুল্লাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আমির হোসেন আমু, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম ও সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর বাসভবনে আগ্নিসংযোগ ও পুড়িয়ে দেয়। এ সময়ে এসব ভবনের আসবাবপত্র, এসি, ফ্যান, কম্পিউটার, টেবিল ঘড়ি, সোফা ও খাট লুট করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন