Logo
Logo
×

সারাদেশ

কুমিল্লায় আ.লীগ নেতার বাড়িতে আগুন, ৬ মরদেহ উদ্ধার

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম

কুমিল্লায় আ.লীগ নেতার বাড়িতে আগুন, ৬ মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লায় আ.লীগ নেতার বাড়িতে আগুন, ৬ মরদেহ উদ্ধার

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর কুমিল্লায় শাহ আলম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে উত্তেজিত জনতা। ওই বাড়িটি থেকে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শাহ আলম কুমিল্লা নগরীর ৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন।

সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে নগরীর অশোকতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে ওই বাড়ি থেকে মোট ৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

নিহতরা হচ্ছে- নগরীর অশোকতলা এলাকার আশিক (১৪), শাকিল হোসেন (১৪), শাওন (১২), রনি (১৬), মহিন উদ্দিন (১৭) ও মাহফুজুর রহমান  (২২)। মঙ্গলবার বিভিন্ন সময়ে জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ছয়জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা অশোকতলা এলাকায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শাহ আলম খানের বাড়িতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে কয়েকজন বাড়িটির তিনতলায় উঠে পড়েন। এ সময় অন্যরা বাড়িটির নিচ তলায় আগুন লাগিয়ে দেন। পরে তিন তলায় অবস্থানকারীরা ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ এবং আগুনে পুড়ে নিহত হন। নিহত ছয়জন ছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। 

এদিকে সোমবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর তালপুকুরপাড় এলাকায় নাফিজুল আলম সামি (১৮) ও চৌদ্দগ্রামে জামশেদ হোসেন (২০) নামে দুই শিক্ষার্থী নিহত হন।

নগরীর তালপুকুরপাড় এলাকায় ঘটনার সময় কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট কমিটির সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম রনির বাসায় ছিলেন নাফিজুল আলম সানি। 

সাইফুল আলম রনি সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার বিুকেলে একদল জনতা আমার বাসায় হামলা চালায়। এ সময় আমার বাসায় থাকা সামিকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে তারা। পরে বিক্ষুব্ধরা আমার পুরো বাড়ি লুটপাট করে।

অপরদিকে জেলার চৌদ্দগ্রামে বিক্ষুদ্ধ জনতা থানায় হামলা করতে গেলে আত্মরক্ষায় গুলি চালায় পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল থেকে জামশেদ হোসেন নামে ওই তরুণের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এসব বিষয়সহ জেলার সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন