ফরিদপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৩০
ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছে একজন। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতের নাম কবির ভূঁইয়া (৫৫) সে কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের ছাগলদী গ্রামের মৃত বশার ভূঁইয়ার ছেলে।
বুধবার (২১ আগস্ট) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল কবির ভূঁইয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। আহতদেরকে নগরকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় কবির ভূঁইয়াকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু এবং কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল এর মধ্যে দীর্ঘদিন স্থানীয় আদিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বুধবার শহিদুল ইসলাম বাবুলের নগরকান্দায় পথসভায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। অন্যদিকে শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু সমর্থিত স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি অনুষ্ঠান হওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এই নিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শহিদুল ইসলাম বাবুলের দুটি গেট ভেঙে ফেলা হয়।
এই নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দিতে থাকে ও এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের উপর হামলা চালায়। এসময় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। প্রথমে শহিদুল ইসলাম বাবুলের সমর্থকেরা উপজেলা সদর বাজার তাদের দখলে নেয়। ঘণ্টা খানেক পর শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুর সমর্থকেরা শহিদুল ইসলাম বাবুলের সমর্থকদের হটিয়ে সদর বাজার দখলে নেয়। এই ঘটনায় উপজেলার ভবুকদিয়াসহ আরো কয়েকটি স্থানেও দুই পক্ষ অবস্থান নেয়।
নগরকান্দা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান বলেন, এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সদর বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।