কমতে শুরু করেছে দেশের সব নদ-নদীর পানি
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী রেজা জানিয়েছেন, দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। ইতোমধ্যে দেশের সব নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা নেই।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কেএম আলী রেজা বলেন, দেশের পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় ১২ জন, ফেনী-২, চট্টগ্রামে-৫, খাগড়াছড়ি-১, নোয়াখালী-৬, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-১, লক্ষ্মীপুর-১ এবং কক্সবাজারে ৩ জন মারা গেছেন। তবে মৌলভীবাজারে দুই ব্যক্তি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি জানান, আক্রান্ত ১১ জেলার ৭৩ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন/পৌরসভা ৫২৮টি। পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দেয়ার জন্য মোট ৪ হাজার তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় মোট ৫ লাখ ৪০ হাজার ৫১০ ব্যক্তি এবং ৩৯ হাজার ৫৩১ গবাদিপশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
আলী রেজা জানান, ১১ জেলায় মোট ১২ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৪টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৮ লাখ ২২ হাজার ৭৩৪ জন। ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবাদানের জন্য মোট ৬১৯টি মেডিকেল টিম সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নগদ বরাদ্দ ১ কোটি বাড়িয়ে ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা করা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি- বেসরকারিসহ সব পর্যায় থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।
তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সংগৃহীত মোট ৮৮ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, কাপড় ও পানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের (ডিডিএম) মাধ্যমে বন্যা কবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। ডিডিএম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
বন্যা আক্রান্ত জেলাসমূহের প্রশাসকদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, মেডিকেল টিম এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে একসঙ্গে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব।