ধীরগতিতে নামছে বন্যার পানি, এখনও পানিবন্দি লাখো মানুষ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
ধীরগতিতে নামছে বন্যার পানি, এখনও পানিবন্দি লাখো মানুষ
বন্যাকবলিত লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনী থেকে ধীর গতিতে নামছে বন্যার পানি। মানবেতর দিন কাটাচ্ছে দুর্গত এসব এলাকার লাখ লাখ বাসিন্দা।
লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি ধীরগতিতে নামায় এখনও ডুবে আছে ৫ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। চরম ভোগান্তিতে দিন কাটছে ১০ লাখের বেশি মানুষের।
এদিকে দুর্গত এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও তা অপ্রতুল বলছেন দুর্গতরা। বন্যা কবলিত এলাকায় পানিবাহিত নানা রোগবালাই ছড়াচ্ছে বলেও জানা গেছে।
কুমিল্লা সদর, বুড়িচং ও চৌদ্দগ্রাম থেকেও ধীরগতি নামছে বানের জল। তবে, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ ও লাকসাম এখনও জলাবদ্ধ। জেলার প্রায় ১১ লাখ মানুষ এখনও পানিবন্দি।
খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকটে মানবেতর দিন কাটছে বাসিন্দাদের। ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যাতে আশ্রয় নিয়েছেন ৭৬ হাজারেও বেশি মানুষ। যেসব এলাকা থেকে বানের জল নেমেছে সেখানকার বাসিন্দারা ঘর মেরামতে ব্যস্ত।
নোয়াখালীর দুর্গত এলাকা থেকেও নামছে পানি। তবে তা খুবই ধীরগতিতে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ডুবে থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন কিছু এলাকা। বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে মুছাপুর ক্লোজার ধসের কারণে কোম্পানীগঞ্জে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। হুমকিতে বাড়িঘরসহ বহু স্থাপনা।
ফেনীতে উন্নতির দিকে বন্যা পরিস্থিতি। তবে, কমেনি দুর্ভোগ। সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার অনেক এলাকা এখনও ডুবে আছে। পানিবন্দি প্রায় ৫ লাখ মানুষ। বহু মানুষের দিন কাটছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
তবে এসব এলাকায় এখনও খাদ্য সংকট রয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় বন্যায় এ পর্যন্ত ১৯ জন মারা গেছেন। চলমান বন্যায় গতকাল দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে সবশেষ ৫২ প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে।