Logo
Logo
×

সারাদেশ

মির্জাপুরে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে চালু হচ্ছে ফাস্টফুডের দোকান

Icon

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম

মির্জাপুরে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে চালু হচ্ছে ফাস্টফুডের দোকান

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে টাঙানো হয়েছে ফাস্টফুডের দোকানের ব্যানার। ছবি : সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় এক মাস বন্ধ থাকার পর সেখানে ফাস্টফুডের দোকান হচ্ছে। এরই মধ্যে ‘আর কে ফাস্টফুড অ্যান্ড কফি হাউস’ নামে সেখানে একটি ব্যানার টাঙানো হয়েছে। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। 

জানা গেছে, কার্যালয়টি ভাড়া দেওয়া হয়েছে স্থানীয় দুই বাসিন্দার কাছে।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রয়াত সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেন উপজেলা সদরের কলেজ রোডে তার জায়গায় নির্মিত বিপণিবিতানের একটি কক্ষে প্রায় এক যুগ আগে দলীয় কার্যালয়টি করেন। ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর মৃত্যুর পর তার ছেলে ও মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান তাহরীম হোসেন (সীমান্ত) এটির দেখভাল করতেন। তাহরীম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে একদল দুষ্কৃতকারী আওয়ামী লীগের কার্যালয়টিতে ভাঙচুর চালায়। সেখানে থাকা আসবাব বাইরে এনে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে কার্যালয়টি বন্ধ ছিল। এ ছাড়া মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে কলেজছাত্র ইমনের মৃত্যুর ঘটনায় ২২ আগস্ট মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। এতে আসামি হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক তাহরীম হোসেনসহ ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান।

এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে ‘আর কে ফাস্টফুড অ্যান্ড কফি হাউস’ নামে একটি ব্যানার দেখা যায়। যেখানে লেখা হয়েছে শিগগিরই উদ্বোধন হবে প্রতিষ্ঠানটির। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত শাটার মেরামত করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাহরীম হোসেনের গ্রামের বাসিন্দা মো. মিলন মিয়া ও তার প্রবাসী ভাই অন্তর মিয়া দোকানটি ভাড়া নিয়েছেন। মোবাইল ফোনে মিলন মিয়া বলেন, তাদের ভাড়া নেওয়া ঘরটিতে ফাস্টফুডের দোকান দেওয়া হবে। দোকান সাজানোর কাজ চলছে।

আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ফাস্টফুডের দোকান হওয়ার খবরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির স্থানীয় দুজন নেতা বলেন, দলের নেতাকর্মীরা যেখানে বসে কাজ চালাতেন, সাময়িক সমস্যার কারণে সেই কার্যালয়ে ফাস্টফুডের দোকান দেওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক।

এ বিষয়ে তাহরীম হোসেনের মোবাইল ফোনে কল করলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ বলেন, ‘আমি বললাম (তাহরীম হোসেনকে) যে দলের দুঃসময়ে যদি পার্টি অফিস ভাড়া দেও, তাইলে কেমন অয়। টাকা আমরাই দিমু অসুবিধা কী? নেতা-কর্মীদের জন্য তো আরও বিব্রতকর অবস্থা অয়্যা গেল। আমারে সে কইল, “আমি তো একা মালিক না, বোনেরা পরিবারের অনেকেই মালিক।” কী আর কমু।’

আক্ষেপের সুরে শরীফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘ভারত লবিং করতাছে। জামায়াতে ইসলামী আওয়ামী লীগের পক্ষে কইয়াই ফেলছে। তারেক জিয়াও কইতাছে আমাদের সঙ্গে কোনো ই...নাই। সবাই রাজনীতি করব। একটা পরিবেশ আইতাছে। এই মুহূর্তে এইটা করা কি ঠিক হলো?’

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন