যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি টেকনাফে গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি টেকনাফে গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানকে টেকনাফে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টেকনাফ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ হত্যা মামলায় যাত্রাবাড়ি থানার আরেক পরিদর্শক জাকির হোসেনকেও খুঁজছে পুলিশ। এর আগে দুপুরে এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শাহবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহাদাৎ আলীর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকায় পাঠানো হবে। আবুল হাসান এপিবিএন টেকনাফে কর্মরত ছিলেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশতাগের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশে ব্যাপক রদবদল হয়। যাত্রাবাড়ী থানার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এপিবিএন টেকনাফে বদলি করা হয়েছিলো যাত্রাবাড়ীর সাবেক ওসি আবুল হাসানকে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে ইমাম হাসান তাইম পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে আসামি করা হয়। নিহত তাইম নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এম ডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গত ২০ আগস্ট নিহত তাইমের মা মোছা. পারভীন আক্তার বাদী হয়ে ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় অন্যদের মধ্যে পুলিশের এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম ও এসি তানজিল আহমেদকেও আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সরকার কারফিউ জারি করে। ওইদিন দুপুর ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিলো। ওই সময় তাইম তার দুই বন্ধুর সঙ্গে যাত্রাবাড়ির কাজলা এলাকায় চা খেতে যায়। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছিলো। তখন ডিসি ইকবাল হোসেন, শামীম ও তানজিল আহমেদের নির্দেশে জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি চালায়।
অভিযোগে আরো বলা হয়, প্রাণ ভয়ে আন্দোলনকারীরা এলোপাতাড়ি ছুটাছুটি করতে থাকে। তাইম ও তার দুই বন্ধু লিটন চা স্টোরের ভেতর ঢুকে দোকানের সাটার টেনে দেয়।
কিন্তু সাটারের নিচের দিকে আধা হাত খোলা ছিলো। সেখানে অবস্থানকারীদের পুলিশ টেনে বের করে। তখন জাকির হোসেন গুলি থেকে বাঁচতে চাইলে দৌঁড় দিতে বলে। তখন তাইম সবার আগে দৌঁড় দেয়। জাকির গুলি করে। তাইম সেখানেই মারা যায়।