নোয়াখালীতে ছাত্র-জনতার মারধরে আহত যুবলীগ নেতার মৃত্যু
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ছাত্র-জনতার মারধরে আহত আব্দুস শহীদ নামে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত আব্দুস শহীদ সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইসমাইল মুহুরী বাড়ির মমিন উল্যাহ মুন্সির ছেলে এবং উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। অপর আহতরা হলেন মো. জামাল হোসেন, মো. জাবেদ ও মো. রিয়াদ হোসেন।
পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে থানায় আটটি মামলা রয়েছে। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি ছিলেন।
এর আগে শনিবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের সূর্যনারায়ণবহর গ্রামের ইসমাইল মুহুরীর বাড়ি থেকে চারজন আটক করে স্থানীয়রা মারধর করে একটি পাইপগানসহ যৌথ বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে।
জানা গেছে, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ইসমাইল মুহুরী বাড়িতে স্থানীয় মানুষ ঘেরাও করে একটি পাইপগানসহ আব্দুস শহীদ, মো. জামাল হোসেন, মো. জাবেদ ও মো. রিয়াদ হোসেন নামে চারজনকে আটক করে মারধর করেন। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা একটি পাইপগানসহ আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে শহীদের মৃত্যু হয়।
নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে নিহত আব্দুস শহীদের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। আটক অপর তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।
নোয়াখালী আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিফাত আনোয়ার বলেন, স্থানীয় মানুষ ওই চারজনকে অস্ত্রসহ আটকের পর মারধর করে। তাদের মধ্যে আব্দুস শহীদ গুরুতর আহত হন। আমরা তাদের ঘটনাস্থলে থাকা সুধারাম থানার পুলিশ সদস্যের কাছে হস্তান্তর করি।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, আব্দুস শহীদ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। নিহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আটটি মামলা রয়েছে।