বন্যায় নেত্রকোণায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ কিলোমিটার সড়ক-সেতু
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৯ পিএম
বন্যায় নেত্রকোণায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ কিলোমিটার সড়ক-সেতু
সম্প্রতি বন্যায় নেত্রকোণায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পাকা সড়ক ও সেতু। বিকল্প সড়ক না থাকায় প্রতিদিনই মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলছে রাজধানী ঢাকাসহ দূরপাল্লার ভারী যানবাহন। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট এই বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা কলমাকান্দার রংছাতি, খারনৈ, বড়খাপন, পোগলা, কৈলাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক।
বন্যার পানির স্রোতে এসব সড়কের পিচের শুড়কি উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দের। এরমধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কলমাকান্দা থেকে পাঁচগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ অংশ। পাশাপাশি বরুয়াকোনা পাকা সড়ক ভেঙে যাওয়ায় নৌকায় চলাচল করতে হচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের।
পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার মহাদেও নদীর ওপর নির্মিত রসুর সেতুর উভয় পাশের সড়কের সংযোগ স্থলের নিচের মাটি সরে গেছে। সড়কের ওপরের বালু ও ইটের খোয়া মিশ্রিত কংক্রিটের ঢালাই অংশ যে কোনো সময় ধসে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনাসহ প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিকল্প সড়ক না থাকায় প্রতিদিনই মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে রাজধানী ঢাকাগামী বাসসহ দূরপাল্লার ভারী যানবাহন চলাচল করে এই সেতুর ওপর দিয়ে। জরুরি রোগী নিয়ে দ্রুত সময়ে যেতে পারছেন না উপজেলা সদরে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, অলরেডি আমরা সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজ নামে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সেটি পাস হলে সেখানে আমরা নতুন একটি ব্রিজ করব এবং বরুয়াকোনা রাস্তার যে ভাঙা অংশ রয়েছে সেখানে আমি নিজেও পরিদর্শন করেছি। পাহাড়ি ঢলের কারণে ওই রাস্তাটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি কমে গেলে ওই রাস্তাটাও আমরা মেরামত করে দেব। বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করে দ্রুতই মেরামতের কাজ করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি ২৫০ কোটি টাকা রাস্তা সংস্কারে খরচ হতে পারে।