Logo
Logo
×

সারাদেশ

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

যানজট পেরিয়ে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

যানজট পেরিয়ে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়

ছবি : সংগৃহীত

ফুটপাতের পন্য বিক্রি, ক্রেতা কম দর্শনার্থী বেশি ও ছুটির দিন ছাড়া দর্শনার্থীদের সমাগম না থাকা নানা বিতর্ক উঠে আসছিল রূপগঞ্জের পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসর। অবশেষে সমস্ত বিতর্ক ছাপিয়ে অবশেষে চিরচেনা রূপে ফিরল ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মেলার ১৭তম দিন দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত ছিল পুরো মেলা প্রাঙ্গণ। এদিকে মেলার তার স্বরূপে ফেরায় হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। ব্যাপক পরিমাণ দর্শনার্থী হওয়ায় মেলায় তৈরী হয়েছে ক্রেতা-ব্যবসায়ীদের মেলা বন্ধন। ছুটির দিন হওয়য় এশিয়ান বাইপাস, গাজীপুর বাইপাস ও তিনশ ফুট সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে।

ছুটির দিন উপলক্ষে মেলায় ব্যাপক পরিমান দর্শনার্থীদের আগমন হওয়ায় এবং গত শুক্রবারের মতো এ শুক্রবারেও দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। তবে তীব্র যানজটে ভোগান্তির শিকার হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেলায় আসা দর্শনার্থীরা।

বিশেষ করে, নরসিংদী, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া, ফেনীসহ আশপাশের জেলা উপজেলার দর্শনার্থীরা মেলায় আসতে গিয়ে এশিয়ান হাইওয়ে বাইপাস সড়কের থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত এবং টাঙ্গাইল, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলা উপজেলার দর্শনার্থীরা এশিয়ান হাইওয়ে বাইপাস সড়কের গাজীপুর কালীগঞ্জ হয়ে মেলা পর্যন্ত ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকা পড়েন। এছাড়া ঢাকা শহর থেকে আসা ক্রেতা দর্শনার্থীরা যানজটে আটকা পড়েন ৩০০ ফুট সড়কে।  এছাড়া যানজট এরাতে বিকল্প পথ হিসেবে রুপসি-কাঞ্চন সড়ক, ডেমরা-কালিগঞ্জ সড়ক, ছনপাড়া চান-টেক্সটাইল সড়ক ব্যবহার করতে গিয়ে সেখানেও যানজটের কপলে পড়েন ক্রেতা দর্শনার্থীরা। মেলায় আসতে গিয়ে তাদের কারও চার ঘন্টা কারো তিন ঘন্টা আবার কারো ছয় ঘন্টা পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় গুনতে হয়েছে। যানজট নিরসন করতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। একদিকে, ধুলোবালি অন্যদিকে ভাঙ্গাচুরা সড়ক। এ সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে অনেকটা দর্শনার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

অপরদিকে, হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনের চেষ্টা করলেও এতো লোকের সমাগমে তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। যানজটে আটকে থাকে শতশত যানবাহন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, মেলার ১৭তম দিন শুক্রবার ছিল মেলার তৃত্বীয় ছুটির সপ্তাহ। এদিন পুরো মেলা ছিল সয়ংসম্পূর্ণ। মেলা পুরোপুরি জাকজমক পূর্ণ হওয়ায় দর্শনার্থীরাও অনেক খুশি। মেলার শুরুর দিন থেকেই যেন বিতর্ক পিছু ছাড়ছিল না। বানিজ্য মেলায় মানেই পুরো মেলা প্রাঙ্গণ কানায় কানায় পরিপূর্ণ থাকবে। স্টল গুলোর সামনে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকবে। চারদিকে উৎসবের আমেজ বিরাজ করবে। মেলার শুরুর দিন থেকেই এমন কিছু দেখা না গেলেও মেলার ১৭তম দিনে এসে শুক্রবার ছুটির দিনে বানিজ্য মেলা যেন তার নিজস্ব রূপ ফিরে পেল। ছুটির দিনে মেলা সকাল ১০ থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়েছে। ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় সকাল থেকেই দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন। সকালে দর্শনার্থী কিছুটা কম থাকলেও বিকেলে পুরো মেলা দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে। ছুটির দিন হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও তাদের স্টলকে নানা রংয়ে বাত্বি জ¦ালিয়ে সাজ-সজ্জায় রাঙ্গিয়ে তুলেছেন। মেলা সেজেছে অপরূপ রূপে। ছুটির দিন হওয়ায় মেলার ভেতরে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় রাখা হয় নাচগানসহ নানা আয়োজন। এদিন মেলায় বেশিরভাগ স্টলেই ছিল উপচেপড়া ভিড়। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে গৃহস্থালি, ইলেকট্রনিক্স, প্রশাধনী, কাষ্মেরী স্টল গুলোতে। এছাড়া শিশু পার্ক ও রেস্তোরা গুলোতে বসার কোন জায়গা ছিল না। মেলার ভেতরে শিশু পার্কে যেন দাড়ানো কোন জায়গা ছিল না। শিশু পার্কের ভেতরে রাইড গুলোর টিকিট কাটতে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। বেশি লোকের সমাগমহওয়ায় রেস্তোরা গুলো খাবারের দাম দর্শনার্থীদের কাছে বেশি নেওয়া হচ্ছে।

মেলা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবারের মেলায় নেই  রাজনৈতিক প্রভাব। তবে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত তরুণদের আয়োজন কম থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। মেলায় এখন পর্যন্ত গৃহস্থালি পন্যের বিক্রি বেড়েছে।  ছাড় চলছে প্রায় সব পন্যে। যাতায়াত ব্যবস্থায় অসন্তোষ ছাড়াও পন্যের মান নিয়ে সন্দেহ করছেন ক্রেতারা। কিছু ত্রুটি সংশোধন হলে মেলার আয়োজন স্বার্থক হবে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।  

ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলার অর্ধেক সময় শেষ হয়ে গেছে । শেষ দিকে হওয়ায় মেলা জমে উঠেছে পুরোপুরি। স্টল গুলোতে দেওয়া হচ্ছে নানা রকম অফার। পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলায় খাবার ও পন্যের মান নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও মেলার ভেতরে কিছু পন্য সাড়া জাগাচ্ছে। এর মাঝে অন্যতম হচ্ছে কারা পন্য ও পাটজাত পন্য। মেলা মানেই যেন এক ভিন্ন রকম উৎসবের আমেজ। মেলাকে ঘিরে পূর্বাচলে একমাস যেন এক অন্যরকম পরিবেশ বিরাজ করে। এক সময়ের পাটশিল্প উৎপাদন ও রপ্তানিতে ছিলো দেশের সবচেয়ে বড়খাত। সোনালী সে সময় ফুরিয়ে গেলেও, বর্তমানে বিশ্ববাজারে বাড়ছে, পাটজাত পণ্যের চাহিদা। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাতেও, পাটজাত পণ্যের স্টলগুলোতে ভিড় চোখে পড়ার মতো। বৈচিত্র আর ভিন্ন আমেজ নিয়ে আসায়, বেড়েছে পাটজাত পণ্যের চাহিদা। পাটের ব্যাগ, সো পিস, শতরঞ্জী, কার্পেট, পাটজাত পণ্যের মূল আকর্ষণ। এসব পণ্যের উপর রয়েছে নানা অফার। দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই। তাই বিক্রিও হচ্ছে ভালো। মঙ্গলবার মেলার ১৪তম দিনের পাটজাত পন্যের স্টল গুলোতে ভিড় দেখা গেছে। 

কথা হয় স্টলে ঘুরতে আসা কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে তারা বলেন, পাটের তৈরী পন্য দেখে ভিতরে আসলাম ভালো ও সুন্দর কারুকাজের পণ্য দেখে বেশ ভালো লাগলো। এজন্যই ভালো লেগেছে কিছু পন্য কিনেছি। পাট পন্যের চাহিদার কথা মাথায় রেখে দিনদিন নতুন নতুন ডিজাইন তৈরী করা হচ্ছে। 

দর্শনার্থী সুমন মিয়া বলেন, পাট আমাদের দেশীয় পন্য। পাটজাত পন্য পরিবেশের জন্য অনেক ভাল। এ পন্য ব্যবহারের পরিবেশের কোন ক্ষতি হয় না। এ কারণে কিছু পন্য কিনে যাচ্ছি বাড়ির জন্য। এবারের আসরে পাট পন্যের বাহারি ডিজাইনের পন্য স্টল গুলোতে উঠানো হয়েছে।   আমাদের তৈরী পণ্যের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মেলা শেষ হওয়ার আগেই আমাদের প্যাভিলিয়নের পন্য শেষ হয়ে যাবে। বন্দিরা অবসরে বসে সময় নিয়ে প্রতিটি পন্য তৈরী করে। এ কারণে আমাদের পন্যে চাহিদা অনেক বেশি। 

আলামিন নামে এক মেলার কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, এতোদিনে মেলা পুরোপুরি জমে উঠলো। আগে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি হলেও আজ মেলায় অনেক বিক্রি হচ্ছে অনেক। ক্রেতাদের সমাগম দেখে আমাদের ভাল লাগছে। 

সাইদুর রহমান নামে এক প্রসাধনী ব্যবসায়ী বলেন, মেলায় এতো লোকের সমাগম দেখে আমরা ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এতো টাকা দিয়ে মেলায় স্টল বরাদ্দ নিয়েচি। বিক্রি না হলে অনেক লোকসানের সম্মূখীন হতে হতো। গত সপ্তাহে ছুটির দিনের মেলায় পন্য ভাল বিক্রি হয়েছিল। আরো বেশি লোকের সমাগম হওয়ায় বিক্রি অনেক ভাল হচ্ছে। আমরা ক্রেতা আকর্ষণে বিভিন্ন ছাড় দিচ্ছি। ছাড় পেয়ে ক্রেতারাও কিনছেন নিজেদের পছন্দের পন্য। 

রাজধানীর ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে আরমান হোসেন পরিবার নিয়ে বানিজ্য মেলায় বেড়াতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, আমি বেসরকারি একটি ব্যাংকে চাকরী করি। আজ শুক্রবার ছুটির দিন তাই স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে মেলা এসেছি। মেলায় অনেক ভিড়। কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। এর আগেরবার মেলায় বসার জায়গা থাকলেও এবার তা নেই। 

কথা মোসাদ্দেক নামে এক দর্শনার্থীর সঙ্গে তিনি বলেন, মেলায় অনেক লোকের সমাগম হয়েছে। মেলায় উৎসবমূখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মেলার সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে গান শুনে ভাল লাগলো। 

কথা হয় রুবেল নামে এক দর্শনার্থীর সঙ্গে বানিজ্য মেলায় আসতে দুপুর ২ টার দিকে চিটাগাংরোড থেকে রওনা হই। মেলায় এসে পৌছেঁছি সন্ধ্যা ৬ টার দিকে। রাস্তাঘাটের দীর্ঘ যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছিলাম। মেলা থেকে ফিরতেও একই ভোগান্তিতে পড়তে হবে। বানিজ্য মেলা দেখলাম এবার অনেক জমে উঠেছে। 

যানজটে আটকে থাকা ট্রাক চালক রিয়াদ বলেন, ৩ ঘন্টা ধইরা মেলার সামনে জ্যামে বইয়া রইছি। মাল লইয়া গাজীপুর যামু। এই জ্যাম কহন শেষ অইবো কহন যামু। আগে জানলে মেলার সামনে দিয়ে না গিয়া অন্যদিক দিয়া যাইতাম। ট্রাফিক পুলিশ ভালমতো কাজ না করায় এই জ্যাম লাগছে। 

কথা হয় ইজিবাইক চালক রিপন মিয়ার সঙ্গে তিনি বলেন, কাঞ্চন ব্রীজ ও তিনশ ফুট সড়ক পুরোটাই যানজটে আটকে আছে। যানজটের কারণে দর্শনার্থীরা হেটে মেলায় যাচ্ছে। এই যানজট কখন শেষ হবে কেউ বলতে পারে না। 

রাজধানীর মিরপুর থেকে আসা গৃহীনি মিনু আক্তার বলেন, মেলায় হরেক পন্যের স্টল রয়েছে ঠিকই তবে দাম কিছুটা বেশি। পূর্বাচলের খোলামেলা পরিবেশ দেখে এসেছিলাম,তবে সরকারী ছুটির দিনে এতো লোক হয় জানা ছিলো না, ভীরের কারনে মনমতো ঘুরে দেখা যাচ্ছে না। 

কথা হয় শিক্ষার্থী নওশিনের সঙ্গে। তিনি রাজধানীর মিরপুর ৬ নাম্বার এলাকা থেকে মেলায় এসেছেন। পেশায় খেলোয়াড়। তবে মেলায় খেলায় সরঞ্জাম না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, টিভিতে দেখলাম উদ্বোধনের সময় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস তরুণদের আয়োজন, তরুণদের উৎসবের কথা বলেছেন। কিন্তু মেলায় তরুণ উদ্যোক্তার দেখা পাওয়া যায়নি।পাশাপাশি খেলার সরঞ্জাম চোখে পড়েনি। এতে আমরা হতাশ। তবে ৫২,  ৭১সহ ২৪ এর আয়োজনে আলাদা প্যাভিলিয়ন ঘুরে ভালো লেগেছে।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হোটেল মালিক হতে চলছে বিনিয়োগ অফার।বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান স্টল সাজিয়ে বিনিয়োগে আগ্রহীদের নিজস্ব পলিসি পরিকল্পনা বুঝাচ্ছেন। কথা হয় ম্যানগ্রোভ হোটেল মেলায় স্টল ম্যানেজার হাসিবুল আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন,   অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার মেলা হচ্ছে সফল।  গত ১৬ দিনে ২ শতাধিক গ্রাহক আমাদের অফার নিয়ে  বিনিয়োগ করেছেন। যা বিরল। বৃহত্তর অংকের  প্রায় ৫ শতাধিক বিনিয়োগকারী পাওয়ার প্রত্যাশা করছি।   

কথা হয় মেলা এলাকায় সড়ক ও পার্কিং শৃঙ্খলায় নিয়োজিত টিআই গৌরাঙ্গ পালের সঙ্গে। তিনি বলেন, মেলায় শুক্রবার আর শনিবার গাড়ীর চাপ বাড়ে। প্রচুর দর্শনার্থীদের সমাগম হয়।  শুক্রবার বিকাল ৪ টার মধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। 

গেইট ইজারাদার প্রতিষ্ঠান ডিজি ইনফোটেক লিমিটেডের ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, শীতকে উপেক্ষা করে শুক্রবার ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেড়লাখ লোকের সমাগম হয়েছে। আমরা মেলায় আসা দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে এবছর ই-টিকেটিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে করে দর্শনার্থীরা নির্বিঘেœ মেলায় প্রবেশ করতে পারে। 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব ও বানিজ্য মেলা পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মেলা কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। মেলায় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে বিপুল পরিমাণ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে। মেলা দর্শনার্থীদের আসা যাওয়ার জন্য ২০০ টির অধিক বিআরটিসির শাটল বাস রাখা হয়েছে। মেলার এটা ১৭তম দিন। মেলা শেষের দিকে হওয়ায় দর্শনার্থীও মেলায় অনেক হচ্ছে।  এবারের মেলায় দেশ-বিদেশের ৩৬১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন অংশ নিচ্ছে, যার মধ্যে ১৮টি বিদেশি স্টল রয়েছে। স্থানীয় উদ্যোক্তারা তাঁদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছেন। আশা করা হচ্ছে এবারের মেলায় ৫শ’ কোটি টাকার রফতানি আদেশ পাওয়া যাবে।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন