মানিকগঞ্জের সিংগাইরে কয়েকদিনের ব্যবধানে ৮ আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় চুরি ও খুনের মতো অপরাধের পাশাপাশি আত্মহত্যার প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, অধিকাংশ আত্মহত্যার ঘটনা পরকীয়া, পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও অভিমানের কারণে ঘটছে। এ সমস্যা রোধে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন তারা।
থানা-পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত ১৬ জানুয়ারি সায়েস্তা ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪০) নামের এক মানসিক রোগী টিনের ঘরের আঁড়ার সঙ্গে রুমাল পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
১৫ জানুয়ারি সদর ইউনিয়নের চর আজিমপুর গ্রামের খায়রুন নাহার (১৬) বাবার বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার পর রাগের কারণে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
৯ জানুয়ারি দক্ষিণ ধল্লা গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৪) প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া করে অভিমান করে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
৮ জানুয়ারি দক্ষিণ সাহরাইল গ্রামের নানা শাজাহান ফকিরের বাড়িতে ঝগড়ার পর ঘরের আঁড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। একই দিন জামির্ত্তা ইউনিয়নের ডাউটিয়া গ্রামের মোহর আলী রাশেদ (২১) প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া করে ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
৭ জানুয়ারি তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা উত্তর পাড়া গ্রামের সুমাইয়া (১৬) স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
৬ জানুয়ারি বায়রা ইউনিয়নের গাড়াদিয়া গ্রামে মোছা: সাহিদা (২০) স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের কারণে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
১ জানুয়ারি সদর ইউনিয়নের চর আজিমপুর গ্রামের শাকিলের স্ত্রী মোছা: জয়া (১৮) স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এসব আত্মহত্যার ঘটনা এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে সচেতনতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ।
থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর জানান, প্রতিটি আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পুলিশ সর্বাত্মক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, আত্মহত্যার ঘটনাগুলোতে আমরা মর্মাহত। ইউনিয়ন ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক উঠান বৈঠক ও সচেতনতা মূলক সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।