নৌপথে ডাকাতি রোধে নৌ পুলিশের অভিযান, ডাকাত দলের ০৫ সদস্য গ্রেফতার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌ পুলিশ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন ডাকাত গ্রুপ সক্রিয় হয়ে ওঠে। নৌপথে ডাকাতি ও দস্যুতা দমনে নৌ পুলিশ নিয়মিত টহল, অভিযান এবং গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে।
এই ধারাবাহিকতায় নৌ পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, বিপিএম-এর নেতৃত্বে বক্তাবলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একটি বিশেষ টিম ২২ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে আন্তজেলা পেশাদার ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, রাত ১টায় কেরানীগঞ্জ থেকে আসা একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ৫-৬ জন সশস্ত্র ডাকাত ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ গুদারাঘাটের ধলেশ্বরী নদীতে নোঙর করা "এমবি সিক্স সিস্টার-২" জাহাজে হামলা চালায়। তারা জাহাজের স্টাফদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখে। ডাকাতরা স্টাফ মিলন মোল্লাকে (৩৭) বুকে ছুরিকাঘাত করে এবং হোসেন শেখকে (২০) মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
ডাকাতরা জাহাজ থেকে ১ লাখ ৭ হাজার ৪৬০ টাকার মালামাল লুট করে, যার মধ্যে বিভিন্ন দামি মোবাইল, নগদ টাকা, কম্বল, বিস্কুট, সিগারেট এবং অন্যান্য পণ্য ছিল।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফতুল্লা থানায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মামলা নং-৫৪/৬১৩ (ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড) রুজু করা হয়।
নৌ পুলিশের তদন্তকারী দল প্রযুক্তিগত ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন:
১. আব্দুল মান্নান মুন্সি (৩০)
২. আনোয়ার হোসেন ওরফে ফজো বেপারী (৭০)
৩. মো. জাহাঙ্গীর (৪৫)
৪. জলিল বেপারী ওরফে জইলা (৫৬)
৫. দলিল উদ্দিন ওরফে ধলু (৩৮)।
এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ১০টিরও বেশি ডাকাতি, অস্ত্র আইন এবং অন্যান্য অপরাধের মামলা রয়েছে।
গত ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, মুন্সিগঞ্জ সদর থানার মামলা নং-১৪ (তারিখ-১১/০১/২০২৫) এর আওতায় নৌ পুলিশ ৯ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করে এবং লুণ্ঠিত ৩.৫ কোটি টাকার ফার্নিস ওয়েল উদ্ধার করে।
নৌ পুলিশের এই ধারাবাহিক অভিযান নৌপথের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।