ছাত্রদল নেতার মোবাইল ছিনিয়ে নিল ছাত্রলীগ নেতা, দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
ছবি : সংগৃহীত
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বড়খেরি ইউনিয়নে ছাত্রলীগ নেতা জোর করে ছাত্রদল নেতার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছিল। এ ঘটনা ঘটে ৫ আগস্টের আগে। এই ঘটনা ভোলেনি ওই ছাত্রদল নেতা। তার জের ধরেই গত মঙ্গলবার স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এক দফা নয়, পরপর তিন দফা সংঘর্ষ।
এই সংঘর্ষে ছাত্রদলের চারজন আহত হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের লোকজনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে বিএনপির লোকেরা এ কাজ করেছে।
দুই দলের সংঘর্ষে আহতরা হলেন বড়খেরি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. মামুন ও ছাত্রদলের স্থানীয় কর্মী মো. সাগর। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে রামগতি উপজেলার উত্তর বড়খেরি ইউনিয়নে সরেজমিন গেলে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে মঙ্গলবার ওই ইউনিয়নের চৌম্মাগো তেমুহনী বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তিন দফা সংঘর্ষ হয়।
এতে এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। ফের বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে স্থানীয় ছাত্রদলকর্মী রাব্বির মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে চাঁদা দাবি করেন রবিন নামের এক স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা। ছাত্রদলকর্মী সাগর ও মেহরাজ এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয় ছাত্রলীগের রবিন।
পরে চর রমিজ ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল আরমান হিমুর মধ্যস্থতায় ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইলটি ফেরত দেন ছাত্রলীগ নেতা।
ওই ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার ছাত্রদলকর্মী সাগর ও মেহরাজ ঘটনাস্থল চৌম্মাগো তেমুহনী বাজারে যান। ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব হোসেন বাবুর নেতৃত্বে রবিন ও ইলিয়াস হাসান তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন।
এ খবর শুনে ছাত্রদলের মামুন ও হোসেন ঘটনাস্থলে এলে তাদের ওপরও হামলা করেন ছাত্রলীগ নেতারা। এতে ছাত্রদলের চার নেতা আহত হন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রদলের অন্য নেতারা ঘটনাস্থলে এসে জড়ো হন। পরে ওই বাজারে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন ক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
অভিযুক্ত বিপ্লব হোসেন বাবুর বাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মোতালেব জানান, পূর্বশত্রুতা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে আমার তিনটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এতে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।