Logo
Logo
×

সারাদেশ

রূপগঞ্জে কাঁচাবাজারের আড়ৎ দখলকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবকদলের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম

রূপগঞ্জে কাঁচাবাজারের আড়ৎ দখলকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবকদলের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষ

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রভাব বিস্তার ও আড়ৎ দখলকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সাওঘাট এলাকায় বিসমিল্লাহ আড়ৎ নিয়ে জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধানের সাথে স্থানীয় ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমানের বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। মুজিবুর রহমান দাবি করেন, তিনি সেলিম প্রধানের জমি ১০ বছরের চুক্তিতে ভাড়া নিয়ে বালু ভরাট ও সেড নির্মাণ করে কাঁচাবাজারের আড়ৎ গড়ে তুলেছেন। অন্যদিকে, সেলিম প্রধান দাবি করেন, মুজিবুর রহমান ভূয়া চুক্তিনামা তৈরি করে জমি দখল করেছেন।

আড়ৎটি দখল করতে সেলিম প্রধানের পক্ষ নেয় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান এবং মুজিবুর রহমানের পক্ষ নেয় জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে সেলিম প্রধানের বাড়িতে মাসুদুর রহমানের লোকজন অবস্থান নেয়। এ সময় রফিকুল ইসলাম তার নেতাকর্মীদের নিয়ে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল বের করলে সেলিম প্রধানের বাড়ি থেকে ইটপাটকেল ছোড়া হয়, যা থেকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

পরবর্তীতে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজনকে পিস্তল হাতে গুলি করতে দেখা যায়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন এবং গুলিবিদ্ধ রাজু ও স্বপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সংঘর্ষে সেলিম প্রধানের ব্যবহৃত একটি জিপ গাড়ি এবং ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়। স্থানীয় মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম জানান, তারা চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল করছিলেন, এ সময় অতর্কিত হামলা করা হয়। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে না থাকলেও তার লোকজনের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। 

সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেদী ইসলাম বলেন, সেলিম প্রধান ও মুজিবুর রহমানের মধ্যে আড়ৎ নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। ঘটনার পর আমরা অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চালাবো। এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আড়তের আসল মালিক নির্ধারণের জন্য উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবে।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন