কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় শহরের খরমপট্টি এলাকায় সাবেক রাষ্ট্রপতির বাসায় হামলা চালায় ছাত্র-জনতার একটি দল। তারা বাসায় ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এর আগে বুধবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত ভবনে অগ্নিসংযোগ করে তা পাবলিক টয়লেট ঘোষণা করেছিল তারা। পরবর্তীতে রাত ১১টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙা হয়।

ওইদিন দুপুরে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা সদর বাজার মোড়ে সাবেক চার রাষ্ট্রপতির ম্যুরাল ভাঙচুর করে ছাত্র-জনতা। এমপি আফজাল হোসেনের মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ভাঙচুর ও লুটপাটের ভয়ে দোকান থেকে মালামাল সরিয়ে নেন। এছাড়া পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ এলাকায় স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং রেজিস্ট্রি অফিস-সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভেতরের ম্যুরালও ভাঙচুর করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, গত জুলাই-আগস্টে হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে দেশবিরোধী অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। তাই কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব রাখা হবে না এবং শেখ হাসিনার কোনো স্মৃতিচিহ্ন বাংলার মাটিতে থাকবে না।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ প্রায় সব শীর্ষ নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ওই দিনই ছাত্র-জনতা সারা দেশে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। বুধবার ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণের ঘোষণায় উত্তেজিত ছাত্র-জনতা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও নেতাকর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।