গাজীপুরের ঘটনায় পুলিশের ক্ষমা প্রার্থনা, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৯ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
গাজীপুরের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ড. মুহাম্মদ নাজমুল করিম খান। তিনি হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আয়োজিত সড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ সমাবেশে এই মন্তব্য করেন পুলিশ কমিশনার। সমাবেশে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, "যারা ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে।"
এছাড়া, দায়িত্বে অবহেলার কারণে গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘোষণা দেন তিনি।
হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "গত রাতে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আমাদের ব্যর্থতাও স্বীকার করছি।"
এ সময় আন্দোলনকারীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে সারজিস আলম নামের এক ব্যক্তি পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এরপর পুলিশ কমিশনার নিজেই আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।
তিনি আরও বলেন, "আমি নিজেও দীর্ঘদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছি, তাই ছাত্রদের কষ্ট বুঝতে পারি। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আমি নিন্দা জানাচ্ছি এবং নিশ্চিত করতে চাই যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে।"
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুর মেট্রো সদর ধীরাশ্রম এলাকায় খবর আসে যে, সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে লুটপাট হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কাছে এই তথ্য পৌঁছালে তারা সেখানে ছুটে যান। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তাদের আটকে রেখে মারধর করা হয়, ফলে অনেকে আহত হন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্ররা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে, যেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয় এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেওয়া হয়।