রূপগঞ্জে সামাদ বাহিনীর তাণ্ডবে আতঙ্কে ১৫ হাজার গ্রামবাসী

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৭ পিএম

সামাদ বাহিনীর প্রধান আব্দুস সামাদ। ছবি : সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার আতলাশপুর এলাকায় আব্দুস সামাদ ও তার বাহিনীর সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে প্রায় ১৫ হাজার গ্রামবাসী।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই নিরীহ গ্রামবাসীদের ওপর হামলা, লুটপাট ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে হয়রানি করছে সামাদ বাহিনী। সামাদ বাহিনীর সদস্যরা এলাকার সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে।
ভুক্তভোগী মতিউর রহমান জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি আবু বক্করের মুদি দোকানে ঢুকে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাহিনীর সদস্যরা। বাধা দিতে গেলে মুদি দোকানদার আবু বক্করও তাদের হামলার শিকার হন। একই দিন গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সিফাতকে হত্যার চেষ্টা চালায় বাহিনী, বাধা দিতে গেলে তার চাচা রাজীবকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বালু ভরাটের কাজ নিয়ে ব্যবসায়ী সেলিম মোল্লার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সামাদ বাহিনীর। সংঘর্ষে আটজন আহত হলেও পরে নিরীহ লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরেই সামাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখল, খুন, হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী অবিলম্বে আব্দুস সামাদ ও তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় তারা বৃহত্তর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, সামাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।