ঢাকা-রাজশাহী সড়কে বাস ডাকাতি: মূল পরিকল্পনাকারীসহ আরও দুইজন গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও এক নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আলমগীর হোসেন (৩৪) ও রাজিব হোসেন (২১)-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার জানান, আগে গ্রেফতার হওয়া তিনজনের তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার নেত্রকোণার পূর্বধলা থানার সাধুপাড়া গ্রাম থেকে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৪,২১০ টাকা ও দুটি রুপার আংটি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর স্বীকার করে, ডাকাতির সময় লুট করা মোবাইল সেট, ব্যবহৃত ছুরি ও নারীদের গহনা রাজিবের কাছে রয়েছে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকার আশুলিয়ার ধামসোনা এলাকার পলাশবাড়ি থেকে রাজিবকে গ্রেফতার করা হয়। রাজিবের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল সেট, গহনা ও তিনটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।
আলমগীরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঠিয়েছে।
গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রধারী ডাকাতদল বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়, কয়েকজন যাত্রীকে রক্তাক্ত করে এবং লুটপাট শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বাসে যাত্রীদের জিম্মি রেখে ডাকাতি ও এক নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়।
ডাকাতরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর চালক প্রথমে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানান। পরে যাত্রীদের চাপে বাসটি নিয়ে যান এবং মঙ্গলবার সকালে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় বাসটি নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনায় এক যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে শুক্রবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয়ভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। আগের তিনজনসহ মোট পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডাকাতির সঙ্গে জড়িত আরও কেউ থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।