১০ বছর ধরে নেই কোনো মুসলিম শিক্ষক, ইসলাম শিক্ষা পড়াচ্ছেন হিন্দু শিক্ষকরা

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৪ পিএম

ফেনী সদর উপজেলার তুলাবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত
ফেনী সদর উপজেলার তুলাবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কোনো মুসলিম শিক্ষক না থাকায় বাধ্য হয়ে হিন্দু শিক্ষকরাই ইসলাম শিক্ষা পড়াচ্ছেন। ফলে তারা আরবি ভাষার সূরা ও কালাম শেখাতে পারছেন না, শুধু বাংলা অর্থই পড়ানো সম্ভব হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষায় বিঘ্ন ঘটছে।
বিদ্যালয়ে ৯ জন শিক্ষক থাকলেও একজনও মুসলিম শিক্ষক নেই, ফলে সব বিষয়েই হিন্দু শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন। বিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৩২৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মুসলমান শিক্ষার্থী মাত্র ২৮ জন। দীর্ঘদিন ধরে মুসলিম শিক্ষক না থাকায় অভিভাবক ও স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অনেকেই সন্তানদের মাদ্রাসায় ভর্তি করাচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রিপ্রা রানী পাল জানান, মুসলিম শিক্ষক না থাকায় শিক্ষাদানে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা নাসরিন কান্তা বলেছেন, শিক্ষা অফিসের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধান করা হবে।
এদিকে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা নীতিমালায় ধর্মীয় ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের বিধান না থাকায় সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মহি উদ্দিন খন্দকার মনে করেন, ইসলাম শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা জরুরি, যাতে শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় শিক্ষায়ও সঠিকভাবে শিক্ষিত হতে পারে।