ফাইল ছবি
সরবরাহ বাড়তে থাকায় ঢাকার বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। বেশ কিছু বাজারে দাম সরকার নির্ধারিত পর্যায়ে নেমে এসেছে। শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পাইকারি বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম ছিল ১৩২ টাকা। কারওয়ান বাজারে এই ডিম বিক্রি হয় ১৪৫ টাকায়। তিন দিন আগেও ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ডিমের ডজন ছিল ১৯০-২০০ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উৎপাদন পর্যায়ে দাম কমে আসায় বাজারে ডিমের দাম কমেছে। গতকাল উৎপাদন পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে প্রায় ১২৭ টাকায়।
ভোক্তাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যের ডিম পৌঁছাতে সরকার আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা আদেশ অনুসারে এই শুল্কছাড় ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। সেই সঙ্গে উৎপাদন পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোক্তাদের প্রতি ডজন ডিম ১৪২ টাকায় কিনতে পারার কথা।
তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আমানত বলেন, সমঝোতার ভিত্তিতে চারটি খামার বৃহস্পতিবার থেকে তেজগাঁও কাপ্তান বাজারে দৈনিক ১০ লাখ করে ২০ লাখ ডিম সরবরাহ শুরু করেছে। সরকার নির্ধারিত দামেই খামারগুলো ডিম দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, 'তেজগাঁওয়ের পাইকারি ডিমের বাজারে প্রতিদিন ১৪-১৫ লাখ ডিমের চাহিদা রয়েছে। চারটি খামার প্রতিটি ডিম দিচ্ছে ১০ টাকা ৫৮ পয়সায়। বাকি ৪-৫ লাখ ডিম কিনতে হচ্ছে অন্য খামার ও ডিলারদের কাছ থেকে। সেখানে প্রতিটি ডিমের দাম পড়ছে ১১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে।
তিনি বলেন, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য খামার থেকে সরবরাহ থাকলে ডিমের দাম স্থিতিশীল থাকবে।
কারওয়ান বাজারের ডিম ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, তিন দিন আগে তিনি প্রতি ১০০ ডিম ১ হাজার ৪০০ টাকায় কিনলেও গতকাল দাম ১ হাজার ১০০ টাকায় নেমেছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি।
রফিকুল বলেন, দাম কমে যাওয়ায় অনেকেই বেশি ডিম কিনছেন।
কাঁঠালবাগানে একটি ছাত্রাবাসের ম্যানেজার শাকিউল ইসলাম বলেন, গতকাল এক ডজন ডিম কিনতে দোকানে গিয়ে তিনি আড়াই ডজন ডিম কিনেছেন।
শেওড়াপাড়ার এক ডিম বিক্রেতা রনি গতকাল ডজন প্রতি ডিম ১৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। তার ভাষ্য, আগেই বেশি দামে কিনে রাখায় বেশি দামে বিক্রি করতে হয়েছে তাকে।