নতুন বছরেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা
যুগেরচিন্তা২৪ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
ফাইল ছবি
ডিসেম্বরে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ ও ব্যবসায়িক খরচ বেড়ে গেছে। ডলারের দাম আরও বাড়লে নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে এবং মূল্যস্ফীতি কমানোর প্রচেষ্টা কঠিন হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) হেড অব অ্যাকাউন্টস এসএম মুজিবুর রহমান বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি পণ্যের দাম শিগগিরই বাড়বে।
২০২৩ সালের মার্চ থেকে মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের ওপরে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিহার পাঁচবার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছে এবং ক্রলিং পেগ বিনিময় হার চালু করেছে। বর্তমানে ডলারপ্রতি ১২৬ টাকায় এলসি খোলা হচ্ছে। বাংলাদেশ ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, চিনি ও মসলাসহ নিত্যপণ্যের জন্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল, যা মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলছে।
ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার বলেন, ডলারের দাম বেড়ে গেলে ব্যবসায়িক খরচ বেড়ে যাবে এবং আমদানি নির্ভরতার কারণে মূল্যস্ফীতি শিগগিরই কমার সম্ভাবনা নেই।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিল্ডের প্রধান নির্বাহী ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, প্রকৃত বিনিময় হার এখন ১২৫ থেকে ১২৭ টাকার মধ্যে। ক্রলিং পেগ ব্যবস্থা ভালোভাবে কাজ করেনি।
আকিজ স্টিল ও আকিজ সিমেন্টের হেড অব বিজনেস মশিউর রহমান ডালিম বলেন, ডলারের দাম বেশি হলে উৎপাদন খরচ অন্তত দুই শতাংশ বাড়বে এবং নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিকন মেডিকেয়ার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মঞ্জুরুল আলম বলেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে ওষুধ খাত সমস্যায় পড়বে এবং বিদেশে টেন্ডার হারানোর আশঙ্কা থাকবে।
পিএলসির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, আইএমএফের শর্ত পূরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনা শুরু করায় হঠাৎ ডলারের দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, গত ৫ থেকে ৬ মাস স্থিতিশীল থাকার পর ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া অপ্রত্যাশিত ছিল এবং মধ্যমেয়াদি মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে।