সন্ত্রাসী সংগঠন ‘সর্বহারা’ পুনর্গঠনের আহ্বানে তীব্র প্রতিবাদ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের
যুগেরচিন্তা২৪ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন (PUYA) সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু একটি ফেসবুক পোস্টে “রেড টেরর” ও পরবর্তী আরো একটি পোস্টে সন্ত্রাসী সংগঠন "সর্বহারা" পুনর্গঠনের আহবানকে তীব্র নিন্দা জানায়। পোস্টটির বিষয়বস্তু সহিংসতাকে উস্কে দেয়, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করে এবং দেশের ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, "আমরা গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ আলোচনা মূল্যায়ন করি। কোনো প্রকার সহিংস কর্মকাণ্ডের আহ্বান, যেকোনো গুপ্ত সন্ত্রাস, আমাদের সমাজে স্থান পেতে পারে না। এমন ভাষণ কেবল বিভাজন, ভীতি এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যা একটি নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশের জন্য হুমকি।"
এই বিপজ্জনক ভাষণের প্রেক্ষিতে সংগঠনটির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম আরো বলেন, "যে বা যারা সহিংসতা উস্কে দেওয়ার জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা লক্ষ্য করছি, মেঘমল্লার বসুর এমন প্রকাশ্য সন্ত্রাসবাদের আহবানের পর প্রশাসন কোনো প্রকার পদক্ষেপ না নিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আমরা প্রশাসনের এমন নিরবতার ও নিন্দা জানাই।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, "এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন, যাতে করে প্রকাশ্য এমন সন্ত্রাসবাদের আহ্বান করা দুঃসাহস আর কোনো শিক্ষার্থী করতে না পারে।"
আমরা সকল ছাত্র সংগঠন, সুশীল সমাজ এবং দায়িত্বশীল নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাই যে তারা কোনো ধরনের সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করুক এবং দেশের মধ্যে শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য একত্রিত হোক।
আমরা দাবি করছি যে কর্তৃপক্ষ ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সকল ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং এমন বিপজ্জনক মতাদর্শের বিস্তার প্রতিরোধ করবে।
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন একটি সন্ত্রাসমুক্ত ভবিষ্যতের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল মূল্যবোধ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে। ২০২৪ সালে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত নতুন বাংলাদেশে এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য কোনো স্থান থাকবে না।