ঢাবি উপ-উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করতে যাচ্ছেন ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা
যুগেরচিন্তা২৪ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের অশোভন আচরণের অভিযোগে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অবরোধ করেন। পরে রাত ১০টার দিকে তারা ড. মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাইতে এক ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। একইসঙ্গে প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সময় পেরিয়ে গেলেও সাড়া না পাওয়ায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাবির দিকে অগ্রসর হন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে তারা সাইন্সল্যাব থেকে মিছিল নিয়ে ঢাবি এলাকায় অগ্রসর হন। বর্তমানে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাবির গণতন্ত্র ও মুক্তিতোরণে অবস্থান করছেন।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখে স্যার এএফ রহমান হলের সামনে ঢাবির শিক্ষার্থীরা লাঠি নিয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা সাইন্সল্যাব ও টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেন। পরে তারা রাজধানীর তাঁতিবাজার এলাকাও অবরোধ করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত কলেজের সমস্যা ও ভর্তির আসন সংখ্যা কমানোর বিষয়ে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) কাছে গেলে তিনি অশোভন আচরণ করে রুম থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন, সাত কলেজের বিষয় সম্পর্কে কিছু জানেন না।
তারা আরও অভিযোগ করেন, ২১ দিন আগে তাকে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও তিনি সেটি পড়েননি। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চিনেন না বলেই তিনি আক্রমণমূলক ব্যবহার করেছেন। তার অশোভন আচরণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়েছে।
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুর রহমান অশোভন আচরণের জন্য ঢাবির প্রো-ভিসিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন:
১. ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
২. সাত কলেজের শ্রেণীকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।
৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে।
৪. সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে।
৫. সাত কলেজের ভর্তি ফির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে, মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাবি ব্যতীত নতুন একটি অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফির টাকা জমা রাখতে হবে।