সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’ করার প্রস্তাব
যুগেরচিন্তা২৪ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর সাত সরকারি কলেজ নিয়ে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার, যার নাম হতে পারে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’। এই নামটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজের নেতৃত্বাধীন কমিটি প্রস্তাব করেছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনারও পরিকল্পনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ইউজিসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কমিটির তিন সদস্য শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং সেখানে এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘আমরা কয়েকটি নাম প্রস্তাব করেছি, এবং শিক্ষার্থীরাও কিছু নাম প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে 'জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়' নামটি আমাদের পছন্দ হয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টাও নামটির প্রশংসা করেছেন। তবে শিক্ষার্থীরা যেটা বলবে, সেটাই হবে। এজন্য আমরা তাদের সঙ্গে বসবো। তারা যে নাম চূড়ান্ত করবে, সেই নামেই বিশ্ববিদ্যালয় হবে।’
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ অন্তর্ভুক্ত হবে। এই কলেজগুলোর আলাদা ক্যাম্পাস রয়েছে এবং সেখানে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা শিক্ষকতা করছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়ে আমরা ভাবছি। শিক্ষক পদে কারা থাকবেন, প্রশাসনিক কাঠামো কী হবে, সেসব বিষয়েও কাজ করছি। প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি যৌথভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনা করবে।’
গত সোমবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করা হয়। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসব কলেজে ঢাবির অধীনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না। এই পরিবর্তনকে সংগতিপূর্ণ করতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের পর ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঢাবি থেকে সাত কলেজ বিচ্ছিন্ন হওয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা উদ্বিগ্ন ছিলেন। তাই তিনি আমাদের ডেকেছিলেন এবং শিক্ষা উপদেষ্টার উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়।’