পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে ঢাবিতে ভর্তি, বিভাগীয় চেয়ারম্যান অপসারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

ছাত্রলীগ নেতাকর্মী হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই ভর্তির সুযোগ পান তিনজন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের অনিয়মিত স্নাতকোত্তর কোর্স ‘প্রফেশনাল মাস্টার্স ইন জাপানিজ স্টাডিজে (পিএমজেএস)।’
অভিযোগ উঠে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ভর্তি কমিটির প্রধান মো. জাহাঙ্গীর আলম জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিঠু চন্দ্র শীল এবং আরও দুইজন কর্মীকে অনিয়ম করে ভর্তি করান। এ বিষয়ে ২০২৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
জানা গেছে, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ভর্তি কমিটির প্রধান মো. জাহাঙ্গীর আলম অভিযুক্ত হলেও তৎকালীন বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য মাকসুদ কামালের কাছের লোক হওয়ার কারণে তিনি এই অনিয়ম করে পার পেয়ে যান। বিভিন্ন সময়ে ঢাবির সাবেক এই উপাচার্যের সঙ্গে মো. জাহাঙ্গীর আলমকে বিদেশ ভ্রমণ ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেও দেখা গেছে।
সম্প্রতি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ভর্তি করানোর অভিযোগ তুলে বিচারের দাবিতে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এই দাবির প্রেক্ষিতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে প্রধান করে বুধবার রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
জাপানিজ স্ট্রাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমাদের বিভাগের একজন শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হয়। তাকে আহত অবস্থায় শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। তখন সেই শিক্ষার্থী বারাবর ফোন করেও বিভাগীয় প্রধান জাহাঙ্গীর আলমের কোন সাড়া পাননি। এমনকি ঘটনার পর বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোর কথা বললেও তিনি তা করেননি।
জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় শিক্ষকদের আওয়ামী লীগ সমর্থিত নীলদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। নীলদলের সমাজিক বিজ্ঞান অনুষদ আহ্বায়ক কমিটির ২০২৩-২৪ সেশনে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ৩৪ ভোট পেয়ে হেরে যান।