অঞ্জনার মৃত্যু নিয়ে রহস্য, শরীরে আঘাতের চিহ্ন
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমানের মৃত্যুর পর তার শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা নিয়ে আত্মীয়স্বজন ও ভক্তদের মধ্যে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অঞ্জনা রহমান। এরপর শনিবার সকালে হাসপাতালে তার গোসল সম্পন্ন হয়।
অঞ্জনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে একটি সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে। গোসলের পর অঞ্জনার মরদেহ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে নেওয়া হলে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়।
অঞ্জনার মৃত্যু নিয়েও রহস্য রয়েছে। জানা যায়, টানা ১০ দিন অচেতন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ১ জানুয়ারি রাতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অঞ্জনার ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, তার অসুস্থতার খবর প্রথমে কেউ জানেনি, কারণ তার পালিত ছেলে মনি এটি গোপন রেখেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন এটি সাধারণ কোনো জ্বর।
অঞ্জনার শেষ বিদায়ের গোসলের সময়ে উপস্থিত সালমা হক নামের এক নিকটাত্মীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সকালে গোসল করানোর সময় আমি দেখেছি তার শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন, যেগুলো স্বাভাবিক মনে হয়নি। আপা আমাকে বলেছিলেন, কে বা কারা যেন তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। মাঝেমধ্যে তিনি আমাকে কল দিয়ে দেখা করতে বলতেন, কিন্তু সেটি আর সম্ভব হয়নি।’
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পরিচিত মুখ ছিলেন অঞ্জনা। নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় চিত্রনায়িকা ছিলেন তিনি।
১৯৭৬ সালে ‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন অঞ্জনা। এরপর তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’ সিনেমার জন্য দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।