আমরা বাঙালিরা প্রচণ্ড ভোজনপ্রিয় হলেও স্বাস্থ্যসচেতনতার ক্ষেত্রে খুব বেশি মনোযোগী নই। ফলে খাবারকে মুখরোচক করতে গিয়ে বিভিন্ন কেকসহ ফাস্টফুডে প্রচুর তেল ব্যবহার করা হয়। স্বাস্থ্যসচেতন অনেকে তেলের পরিবর্তে মাখন ব্যবহার করেন। বিভিন্ন খাবারে মাখন মেখে খেতে তাঁদের পছন্দ।
মাখন কিনতে গেলে দেখা যায় বিভিন্ন দামের মাখন পাওয়া যায়। কিছু মানুষ না বুঝে কম দামে মাখনের মতো দেখতে মার্জারিন কেনেন, যা মাখন নয় এবং এতে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। বাজারে মার্জারিন নামে পরিচিত এই উপকরণটি দেখতে মাখনের মতো হলেও এর গুণগত মান ভিন্ন।
উপাদান: মাখন দুধ বা ক্রিম থেকে তৈরি হয়, আর মার্জারিন তৈরি হয় উদ্ভিদ বা পশুর চর্বি থেকে।
স্বাদ ও গুণাবলি: মাখন মুখে দিলে সুস্বাদু লাগে এবং সহজেই মুখের মধ্যে মিশে যায়, যা একটি ভালো অনুভূতি সৃষ্টি করে। অন্যদিকে, মার্জারিন বেশি চর্বিযুক্ত হওয়ায় এর স্বাদ ভালো হয় না এবং এটি মুখে লেগে থাকে।
সুবাস: মাখন সাধারণত বেশি সুবাসযুক্ত। অন্যদিকে, মার্জারিনে কৃত্রিম রং ব্যবহার করে মাখনের মতো রং আনা হয়।
গলানোর তাপমাত্রা: মাখন প্রায় ৯৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় গলে যায়, তবে মার্জারিন গলাতে বেশি তাপমাত্রার দরকার হয়।
পরীক্ষা: মাখনের খাঁটি হওয়া যাচাই করতে এক চামচ মাখন পানিতে ফেলে কয়েক ফোঁটা আয়োডিন মেশান। যদি রং বেগুনি হয়, তবে স্টার্চ মেশানো হয়েছে, আর যদি রং না বদলায়, তাহলে মাখন খাঁটি।
ভোজ্যতেলকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জমাট বাঁধালে তা ট্রান্স-ফ্যাটে রূপান্তরিত হয়, যা রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে এবং ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। রান্নার সময় মার্জারিন কম দামে পাওয়া যায়, তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কেকের বাটার ক্রিমের পরিবর্তে মার্জারিন ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই মার্জারিন ব্যবহারে সতর্ক থাকা জরুরি।