করোনাভাইরাসের পর নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে এইচএমপিভি (হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস), যা বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। যদিও এটি করোনার মতো ভয়াবহ নয়, তবে এর লক্ষণ অনেকটাই করোনার মতো।
কীভাবে এইচএমপিভি ছড়ায়?
এই ভাইরাস সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। সংক্রমণ ঘটতে পারে দরজার হাতল, লিফটের বোতাম বা কাপে স্পর্শ করার পর চোখ, নাক, বা মুখ স্পর্শ করলে।
বাঁচার উপায়:
চিকিৎসকদের মতে, আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। কিছু নিয়ম মেনে চললেই এই ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব।
১. হাত পরিষ্কার রাখুন
- বাইরে থেকে এসে বা কিছু স্পর্শ করার পর ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
- হাত ধোয়ার সুযোগ না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
- অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন।
২. মাস্ক ব্যবহার করুন
- বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। নাক ও মুখ ঢেকে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।
৩. রেসপিরেটরি শিষ্টাচার মেনে চলুন
- হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় মুখ ও নাক কনুই দিয়ে ঢাকুন বা টিস্যু ব্যবহার করুন।
৪. বারবার স্পর্শ করা জিনিস জীবাণুমুক্ত করুন
- দরজার হাতল, আলোর সুইচ, স্মার্টফোন বা কিবোর্ডের মতো জিনিস নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
৫. অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন
- সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন।
৬. অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকুন
- জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং দ্রুত চিকিৎসা নিন।
বিশেষ পরামর্শ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সতর্কতা মেনে চললে এই ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব। সচেতনতার পাশাপাশি নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই সুরক্ষার মূল চাবিকাঠি।