নিয়মিত সজনে পাতা খেলে পাওয়া যাবে যেসব উপকারিতা
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আদর্শ সজনে পাতার চা। ছবি : সংগৃহীত
সজনে গাছের বৈজ্ঞানিক নাম মরিঙ্গা ওলিফেরা। সজিনার মূল, ছাল, ফুল, ফল, বীজ,পাতা সবকিছুতেই মহাঔষধি গুণ বিদ্যমান। এর প্রধান ঔষধি রাসায়নিক পদার্থ হচ্ছে, বিটা-সিটোস্টেরোল, এক্যালয়েডস-মোরিনাজিন। আর ফুলে আছে জীবানুনাশক টিরিগোজপারমিন। এর মধ্যে আছে ভিটামিন এ, বি, সি,প্রোটিন ও চর্বি জাতীয় পদার্থ, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি।
বিশেষ করে সজনে পাতা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি ম্যালেরিয়া জ্বর, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য অনেক রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। নিয়মিত সজনে পাতা খেলে আরও কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সজনে পাতায় ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং গুরুত্বপূর্ণ অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। এসব উপাদানে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। নিয়মিত সজনে পাতা খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
১. সজনে পাতার এন্টি-অক্সিডেন্ট এবং আইসোথিয়োকাইনেটস নামের উপাদানগুলো রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন মাত্র ৫০ গ্রাম সজনে পাতা খেলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষ করে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আদর্শ সজনে পাতার চা। এই পাতার মধ্যে ফাইটোকেমিক্যাল নামের একটি যৌগ রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই পাতার চা পান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং অক্সিডেটিভ চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. সজনে পাতা রক্তল্পতা দূর করে। শাকের তুলনায় পঁচিশ গুন বেশি আয়রন রয়েছে এতে। কলা থেকে তিন গুন বেশি পটাশিয়াম রয়েছে। শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সজনে পাতা দারুণ উপযোগী। তবে ভাল উপকার পেতে বেশ কিছুদিন নিয়মিত সজনে পাতা, ডাঁটা ও ফুল খাওয়া দরকার।
৩. সজনে পাতায় কোলেস্টেরল কমানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। সজনে পাতার একটি চমৎকার উৎস। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
৪. সজনে পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকের যত্নের জন্য আদর্শ।
৫. ঘুম এবং পুষ্টি উভয়ই একে অপরকে প্রভাবিত করে। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে সজনে পাতার মতো শক্তিশালী খাবার প্রয়োজন। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সজনে পাতার মতো শক্তিশালী খাবার অপরিহার্য কারণ এই পাতা শক্তি বাড়ায়, শরীরকে ভিটামিন দিয়ে ফ্লাশ করে এবং প্রদাহ কমায়।