সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সিমেন্ট কোম্পানির ব্যাংক হিসাব স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমানের আদেশে, ব্যাংক এশিয়ার দায়ের করা ১৪ কোটি ৬৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮৭ টাকার খেলাপি ঋণের মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট সিমেন্ট কোম্পানির ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। আদালত আরামিট সিমেন্টের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার পাশাপাশি আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট হিসাবের গত এক বছরের লেনদেনের বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট সিমেন্ট কোম্পানির ১৪ কোটি ৬৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮৭ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য গত বছরের ২১ নভেম্বর অর্থঋণ আদালতে মামলা করে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড। পরে ২৬ নভেম্বর ক্রোকাবদ্ধের দরখাস্ত দিলে আদালত শুনানির জন্য ১৩ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন।
ক্রোকাবদ্ধের আবেদনে বাদীপক্ষ উল্লেখ করেন, আরামিট সিমেন্ট কোম্পানির নামে নেওয়া ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের কাছে আসামিদের কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ দায়বদ্ধ নেই। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে আসামিরা দেশত্যাগ করেছেন বলে শোনা যায়। আসামিদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। আরামিট সিমেন্ট কোম্পানির নামে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, বহদ্দারহাট শাখায় একটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে যার নম্বর-০৭৯১১০১০০০০০০০৩৮। হিসাবটি ক্রোকাবদ্ধ না করা হলে আসামিদের কাছ থেকে পাওনা আদায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ছাড়াও ওই মামলায় তার স্ত্রী রুখমিলা জামান, আরামিট সিমেন্ট পিএলসির চেয়ারম্যান এস.এম আলমগীর চৌধুরী, পরিচালক ওয়ারাসুজ্জামান চৌধুরী, খোরশেদুল আলম, মো. হাবিব উল্লাহ এবং মো. শফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আরিফ উদ্দিন জানান, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরামিট সিমেন্ট কোম্পানির মালিক। তিনি সরকার পতনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আরামিট সিমেন্ট কোম্পানির নামে নেওয়া ঋণের বিপরীতে কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ নেই।
তিনি আরও বলেন, আদালত তাদের ক্রোকাবদ্ধ করার আবেদন পর্যালোচনা করে শুনানি শেষে আরামিট সিমেন্ট কোম্পানির বহদ্দারহাট শাখার ব্যাংক হিসাবের সমস্ত লেনদেন স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, ব্যাংকটি আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ওই হিসাবের গত এক বছরের লেনদেনের বিবরণী দাখিল করতে হবে।