আশরাফুল আলম খোকন। ছবি : সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সভায় শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সহকারী মো. জাহাঙ্গীর আলমের অবৈধ সম্পদের তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, আশরাফুল আলম খোকনের বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে। তিনি নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে তার নামে নিবন্ধিত চারটি প্রাইভেট কারের তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আশরাফুল আলম খোকন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
এদিকে জাহাঙ্গীর টানা দুই মেয়াদে এবং তৃতীয় মেয়াদে কিছু সময় শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠার পর তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এরপরও তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী দাবি করে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন।
গত ১৪ জুলাই বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার এবং তাদের সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেয়।
জাহাঙ্গীর আলম নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের নাহারখিল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এর আগে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন এবং গত সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন।