গাজী টায়ার কারখানার ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সম্ভব নয় উদ্ধার অভিযান: বুয়েটের প্রতিনিধি দল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
গাজী টায়ারস কারখানার ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সম্ভব নয় উদ্ধার অভিযান: বুয়েটের প্রতিনিধি দল
নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের রূপসীতে অবস্থিত গাজী টায়ার কারখানায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ছয়তলা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে ভবনটির উপরের অংশে উদ্ধার কাজ চালানো সম্ভব না বলে জানিয়েছেন বুয়েটের প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে পুনে পুড়ে যাওয়া গাজী টায়ার কারখানা পরিদর্শন শেষে বুয়েটের প্রফেসর রাকিব আহসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীবকে সঙ্গে নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের লেদার মেশিন দিয়ে ছাদের উপরে ও বিভিন্ন তালার অংশ ঘুরে দেখেন। তবে ফোনের উপরের অংশে উদ্ধার অভিযান না হলেও ভবনের বেজমেন্টে কিছু অংশে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালাবেন। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে বুয়েটের এক সদস্যের প্রতিনিধি দল গাজী টায়ারস কারখানা পরিদর্শনে আসেন।
এ সময় বুয়েটে প্রকৌশলী রাকিব আহসান বলেন, গতকাল রাতে জেলা প্রশাসক বুয়েটের কে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি সকালে এসে কারখানাটির অংশ পরিদর্শন করেছি এবং ফায়ার সার্ভিসের লেদার দিয়ে উপরে উঠে ভবনের বিভিন্ন অংশ চেক করে দেখেছি। আমরা খালি চোখে কোন লাশ দেখতে পাইনি। ছাড়া গতকাল ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ড্রোন দিয়ে কিছু ভিডিও ও ছবি দেখলাম। টানা প্রায় তিন দিন ধরে আগুন জ্বলেছে ভবনটিতে এ কারণে ভবনটির অনেক অংশ ধসে পয়েছে। এটি ছয়তলা বিল্ডিং এ বিল্ডিং এর চারতলা ও পাঁচতলার ছাদ ভেঙ্গে তিন তলার বেজমেন্ট এসে পড়েছে। ভবনের বিভিন্ন অংশের রড বাকা গেছে। ভবনের আগুন উপরের দিকে বেশি সময় ধরে জ্বলেছে কারণে উপরের দিকে ক্ষয়-ক্ষতি বেশি হয়েছে। ভবনটিতে প্রচুর পরিমাণ কেমিক্যাল ছিল।
ভবনটির তৃতীয় তলার ও বিভিন্ন অংশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে ভবনটিতে উদ্ধারকাজ চালানো খুবই বিপদজনক। যখন র্যাংস ভবন ভেঙেছিল তখন আমরা গেছিলাম গাজী টায়ার কারখানার অবস্থান র্যাংস ভবন থেকেও খারাপ। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ভবনটির নিচ তলার বেইজমেন্টে উদ্ধার অভিযান চালাবে। ভবনটি ভেঙে ফেলা হলেও ভবনটিতে খুবই পরিকল্পনা মাফিক ভাঙতে হবে।
এ সময় বৃহত্তর ঢাকার ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা তদন্ত কমিটির সঙ্গে বসেছিলাম। আমরা ড্রোন ও লেদার দিয়ে ভবনের বিভিন্ন অংশ চেক করেছি খালি চোখে যতটুকু দেখা যায়। আমরা কোন ভিকটিম দেখতে পাইনি। ভবনের বিভিন্ন কলামের রড বের হয়ে গেছে ও ফুলে গেছে। চার ও পাঁচতলার তলার উপর পড়েছে। এ ভবনে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব না। তবে আমরা ভবনের নিচে বেজমেন্টে রেসকিউ অপারেশন আজকে চালিয়েছি। তবে কোন লাশ দেখতে পাইনি।
উল্লেখ্য এ পর্যন্ত স্বজনদের দাবি, অনুযায়ী ১৭৬ জন নিখোঁজ এর তালিকা পাওয়া গেছে। পরে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সমন্বয়ের তালিকা হলে সেখানে নিখোঁজের সংখ্যা ১২৯ জন।