বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সহযোগীতা করবে যুক্তরাষ্ট্র: অর্থ উপদেষ্টা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সহযোগীতা করবে যুক্তরাষ্ট্র: অর্থ উপদেষ্টা
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মূল আলোচনা ছিল তাদের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডির সঙ্গে। বিশেষ করে আর্থিক সংস্কার, আর্থিক খাতে যে সহযোগিতা দরকার সেটা নিয়ে। দ্বিতীয় বাণিজ্যের। আমরা এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন এবং বাণিজ্যে বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা বা বাজার এক্সপ্লোর করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগুবো, তারা সে ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সহযোগিতা চেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনাসহ কয়েকটি বিষয়েও আলোচনা হয়েছে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে। বাংলাদেশের আর্থিক খাত সংস্কারে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে প্রতিনিধি দল।
উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এটা যে চুক্তি আগে হয়েছিল সেটার সঙ্গে আরও ২০০ মিলিয়ন যোগ করা হয়েছে। আগে যা ছিল তার সঙ্গে এটি যুক্ত হয়েছে। তার মানে বাড়তি টাকা তারা দেবে।
আর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে জানানো হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ‘অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত এবং সম্পর্কিত সহায়তা’ শীর্ষক একটি আমব্রেলা চুক্তির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র এবং শাসনের মতো বিভিন্ন খাতে এখন পর্যন্ত ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অবদান রেখেছে।
খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন খাতে যুক্তরাষ্ট্র বেশিরভাগ উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এবং অন্যান্য কিছু সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে।
ইআরডি আরো জানায়, ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১-২৭ সালের জন্য সরকার ও ইউএসএইড এর একটি নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছিল। এটি বাস্তবায়নের জন্য মোট ৯৫৪ মিলিয়ন ডলার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা।