আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাহে আলম। ছবি: সংগৃহীত
বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহে আলম তালুকদারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গুলশান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান হত্যা মামলায় তার রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক রাজু আহমেদ তার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শাহে আলমের পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
শনিবার শাহে আলম তালুকদারকে আটক করে পুলিশে দেয় জনতা। পরে তাকে গুলশান থানায় সোপর্দ করা হয়।
জানা যায়, নাইমুর রহমান (২২) গুলশান ডিগ্রি কলেজের একজন ছাত্র এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী। গত ১৯ জুলাই গুলশান থানার শাহাজাদপুর মেইন রোডে ছাত্র -জনতার আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। পরে বিকেল চারটার পর ৪০০ থেকে ৫০০ জন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়ে। তাদের ছোঁড়া গুলিতে অনেক আন্দোলনকারী ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে নাইমুর রহমানও ছিল। পরে তার বাবা ৬৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, সাবেক চিফ হুইফ নুরে আলম চৌধুরী লিটন, সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান, সাবেক বিদুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক এমপি নুর মোহাম্মদ।