‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ ড. ইউনূসের ১০০ কোটি টাকা অনুদান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ ড. ইউনূসের ১০০ কোটি টাকা অনুদান
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের সহায়তার জন্য গঠিত ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ত্রাণ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
এক সপ্তাহের মধ্যে আহতদের আর্থিক সহায়তা শুরু হবে এবং পরবর্তীতে এককালীন ও মাসিক হিসেবে আর্থিক সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং আন্দোলনে নিহত মুগ্ধ’র জমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে সেক্রেটারি (সম্পাদক) করে সাত সদস্যের ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মাহবুবর রহমান স্নিগ্ধ এবং কমিটির সদস্য ও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রায় ৮০০ নিহত এবং ২০ হাজারের বেশি জন আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭০০ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। সব পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ শেষ হলে স্মরণসভা করা হবে।
এই গণঅভ্যুত্থান কোনো দলমত বা গোষ্ঠীর নয়
এর আগে শহীদদের কোনো দলীয় পরিচয় হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, এই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কোনো দলমত বা গোষ্ঠীর নয়। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত গোলাম নাফিজের স্মরণসভায় তিনি এ দাবি করেন।
আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীরাই দেশ স্বৈরাচারমুক্ত করেছে। এই গণআন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছেন। আন্দোলনে নিহত শহীদরাই অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন। তাদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই।
নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, এই গণআন্দোলনের রুপকার, মাস্টারমাইন্ড আমরা নই; এর পুরো কৃতিত্ব শহীদদের। তাই সবাইকে অভ্যুত্থানের শহীদদের চেতনা ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন সংবিধানে শহীদদের চেতনাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
দেশের পাশাপাশি ব্যক্তির মানসিকতারও পরিবর্তন করতে হবে মন্তব্য করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, নতুন বাংলাদেশে কথা বলার অধিকার, মানবাধিকার, ভোটাধিকার থাকবে। এমন একটা রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে, যেন আর কোনো স্বৈরাচার ফিরে আসতে না পারে।