ছবি : সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারাদেশেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টিরও আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর প্রভাবে কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
ভোর থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। রাজধানীর আকাশজুড়ে ছিল কালো মেঘ। দুপুর ১২টার পর থেকে অস্থায়ী দমকা বাতাস শুরু হয়। অবশেষে পৌনে ১টার দিকে ঝুম বৃষ্টি নামে। থেমে থেমে মেঘের গর্জনও কানে ভেসে আসছে। এতে তাপমাত্রা কমায় কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার জন্য দেয়া পূর্বাভাসে ঢাকাসহ দেশের ১০ জেলার ওপর দিয়ে ঝড়বৃষ্টির কথা জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। লঘুচাপ ও স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচু জোয়ারের আশঙ্কায় দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গভীর সাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে সাবধানে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
ছুটির দিন হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ বাসাবাড়িতে অবস্থান করছেন। তারা এই বৃষ্টি উপভোগ করছেন। অনেককেই বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা গেছে। তবে ভোগান্তিতে পড়েছেন জুমার নামাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়া মুসল্লি, পথচারী এবং ফুটপাতের দোকানিরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিচ্ছে। এ সময়ে মৌসুমি বায়ু শক্তিশালী আচরণ করে এবং প্রচুর বৃষ্টি ঝরায়। চলতি সপ্তাহের মধ্যে মৌসুমি বায়ু বিদায় নেয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। এ সময় শীত শীত অনুভূতি হতে পারে।