শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া হবে: তাজুল ইসলাম
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। রবিবার (১৩ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, বিচারক নিয়োগ হলে এ সপ্তাহেই জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে। শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতক ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিমে নিয়োগ হলেও বাকি ছিল বিচারক নিয়োগ।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গেলো জুলাই ও আগস্ট মাসে গণহত্যার অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান। এমন পরিস্থিতিতেই আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ হবে।
স্বাধীনতার ৩৯ বছর পরে ২০১০ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ওই বছরের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল বহাল রাখা হয়। ফলে একটি ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকার্য চলমান ছিল।
এদিকে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের পর পতন ঘটে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের। এর পরপরই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার দল, দলটির সুবিধাভোগী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের হতে শুরু হয়। সেসব অভিযোগের বিচারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন ও আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়াকে সচল করতে উদ্যোগী হয়ে ওঠে।