শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যু মীমাংসিত, বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগকেন্দ্রিক মীমাংসিত বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে প্রচার চালানো হয়েছে, তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার ওপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে, সেগুলোর উত্তর আপিল বিভাগের আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে।
সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গত ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত চান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করানো যেতে পারে। এরপরই ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের শপথ পড়ানো হয়। এর আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান।
সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু তার কাছে এ নিয়ে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।
এ খবর সামনে এলে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। এদিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, যদি রাষ্ট্রপতি এই বক্তব্যে অটল থাকেন, তাহলে ওনার রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কিনা, সেটা আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় ভেবে দেখতে হবে। যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে মৌখিকভাবে পদত্যাগ করেছিল স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা।
শেখ হাসিনাকে জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করেছে, তাই তার পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যদি বলেন যে তার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের কোনো ডকুমেন্ট নেই, তাহলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া উচিত, তা ছাত্রসমাজ ঠিক করবে।