আ. লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ সিইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সদ্য গঠিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দেবে বলে জানিয়েছেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নতুন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারির পর প্রভাবশালী এক সংবাদমাধ্যমকে দেয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান তিনি।
নাসির উদ্দীন বলেন, সংকটময় সময়ে দায়িত্ব নিলেও এটি দেশের জন্য কিছু করার একটা সুযোগ হিসেবে দেখছি আমি। আমরা মাঠ তৈরি করে দেবো। যারা নির্বাচনে যেতে চান তারা অংশ নেবেন। জাতিকে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া আমার মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, এখন অনেক চ্যালেঞ্জ দেখছেন, নির্বাচন করতে গেলে ভবিষ্যতে অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে, যখন আসবে তখনই যথাযথ উপায়ে মোকাবেলা করতে হবে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের তরফ থেকে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ও বিতর্ক চলমান। তবে ক্ষমতাচ্যুত দলটিকে নিয়ে নির্বাচন ইস্যুতে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না নতুন সিইসি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে। ইলেকশন আসতে আসতে হয়তো সেই বিতর্কের একটা ফয়সালা হবে। আমি এখনো শপথ নিইনি। এখনই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পদে অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ দিয়েছেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনার পদে ৪ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা হলেন-অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
এর আগে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয় সরকার। এই পদে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম খুঁজতে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। ২৯ অক্টোবর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
সার্চ কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক সদস্য হলেন- বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার। এছাড়া আইন অনুযায়ী পদাধিকারবলে সদস্য হিসেবে আছেন বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম এবং পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর ১ মাস পর ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেন। এতে নির্বাচন কমিশনারদের পদ শূন্য হয়।