Logo
Logo
×

জাতীয়

‘ক্যাডার’ শব্দ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করবে সংস্কার কমিশন

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম

‘ক্যাডার’ শব্দ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করবে সংস্কার কমিশন

রবিবার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. মোখলেস উর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য সচিব ড. মোখলেস উর রহমান বলেছেন, অন্তবর্তী সরকারের কাছে সিভিল সার্ভিসে ‘ক্যাডার’ শব্দটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। 

এ সময় কমিশনের প্রধান ও সাবেক সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘ক্যাডার’ শব্দটি নেতিবাচক হওয়ায় কমিশন এ সুপারিশ করবে। এ বিষয়ে স্পেসিফিক কিছু প্রশ্ন ছিল সেখানে যেগুলো পাওয়ায় প্রশাসন সম্পর্কে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। বিসিএসকে বলা হয়- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস, এটাকে নানান কারণে ক্যাডার বলে। ক্যাডার শব্দটার সঙ্গে অনেকের একটা নেগেটিভিটি (নেতিবাচকতা) ধারনা। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের যেসব সংস্কার প্রস্তাব না দেয়া হবে তার মধ্যে এ ক্যাডার শব্দটি বাদ দিয়ে যার যে সার্ভিস, সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন), সিভিল সার্ভিস (হেলথ), সিভিল সার্ভিস (এগ্রিকালচার)- এভাবে লেখা হবে। এটা একটা বড় সংস্কার মনে করি, এতে অনেকের স্যাটিসফেকশন আসবে।

সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা ট্যুর করতে গিয়ে যে জিনিসটা দেখলাম, মানুষ মনের কথা বলতে চেয়েছে। কয়েকটা অফিস সম্পর্কে মানুষের একেবারেই নেগেটিভ ধারণা। এগুলো আপনারা জানেন, আমি জানি, উল্লেখ করতে চাই না। তারপরও দু-একটার কথা বলতে হয়। এসিল্যান্ড অফিস সম্পর্কে বাজে ধারণা, রেজিস্ট্রি অফিস সম্পর্কে খুবই বাজে ধারণা।

‘রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতি এমন লেভেলে যেকোনো অভিযোগ নেই। শেয়ারিংটা খুবই সায়েন্টিফিক। কারও কোনো অভিযোগ নেই। দিচ্ছে এবং নিচ্ছে। বরং বলে আগে স্যারের চেয়ে আপনি কম নিচ্ছেন।’

প্রেস ক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিকদের ও এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সঙ্গে একটি মতবিনিময় হবে বলেও জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।

সিনিয়র সচিব বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়, সেই পরিবর্তনের জন্যই এই পরিবর্তিত সরকার এসেছে। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি।’

ইতোমধ্যে এক লাখ মানুষ অনলাইনে কমিশনের প্রশ্নের জবাব দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জেলা প্রশাসক নাম পরিবর্তন হবে কি না- জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, অনেকে বলেছেন জনপ্রশাসন না বলে জনসেবা বলা যায় কি না। জেলা প্রশাসক ব্রিটিশ আমলের সৃষ্টি এবং এই শব্দের বাইরে অনেকগুলো প্রতিশব্দ আছে। কালেক্টর আছে, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আছে, ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট আছে। আমার মনে হয় নামের বিকল্প বিষয়ে সাজেশন দেবো সরকার যেটা নেয়। 

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের হৃদয় এবং মস্তিষ্ক পরিবর্তন করতে হবে। এই দুই জায়গার সমন্বয়ে যদি পরিবর্তন হয়... আমি যদি নিজেকে বলি শুনতে আপনার খারাপ লাগবে, আমি একজন চেঞ্জ পারসন। আমার মাথা এবং মন দুই জায়গায় পরিবর্তন আছে। সামনে যা দেখি সেটার আমি পরিবর্তন চাই। আমার চাকরির ৯২ দিন, সামনে আরও অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন দেখবেন।’

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন