ভাতা বেড়ে ৩০ হাজার টাকা, ট্রেইনি চিকিৎসকদের প্রত্যাখ্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে এই পাঁচ হাজার টাকা বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা। তারা ৫০ হাজার টাকা ভাতার দাবি জানিয়ে, না মানলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি অনুবিভাগের উপসচিব সৈয়দ আলী বিন হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ভাতা বৃদ্ধির কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ অ্যান্ড সার্জনস্ (বিসিপিএস)-এর এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের বর্তমান ২৫ হাজার টাকা থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলো, যা আদেশ জারির তারিখ থেকে প্রযোজ্য হবে। তবে বর্তমান বাজারদরের প্রেক্ষাপটে এই বৃদ্ধি তাদের জীবনমানে তেমন প্রভাব ফেলবে না জানিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন চিকিৎকরা।
ট্রেইনি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস মুভমেন্ট অব জাস্টিসের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে যতবার রাস্তায় নামি ততবার পাঁচ হাজার টাকা বাড়ানো হয়।
এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এটা আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি এবং প্রজ্ঞাপন আগুন দিয়ে পুড়িয়েছি। একইসঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাদের ভাতা ৫০ হাজার টাকা না করা হলে রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) শাহবাগে মহাসমাবেশ এবং অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে সরকারের পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারজিস আলম।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তারদের ভাতা মাত্র ৩০ হাজার টাকা কখনোই যৌক্তিক হতে পারে না। এটা অন্তত ৪০ হাজার টাকা অথবা ৯ম গ্রেডের সমমান হওয়া উচিত। কোথায় কখন কতটুকু ইনভেস্ট করতে হবে সেটা যতদিন আমরা না বুঝবো ততদিন দেশের প্রত্যাশিত উন্নতি সম্ভব না। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করছি।’