চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান, অবরোধ অব্যাহত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ পিএম

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে এক বৈঠকে আপাতত ৩০ হাজার টাকা ভাতার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল আন্দোলনরত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল। তবে আন্দোলনরত অন্যদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তারা সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাস থেকেই ৩৫ হাজার টাকার ভাতা ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। অন্যথায় তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুন্নবী এ ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, ডা. সায়েদুর রহমানের আমন্ত্রণে আমরা চারজনের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলাম। সেখানে ড্যাব-এনডিএফ এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। সায়েদুর রহমান স্যার জানান, সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দেওয়ার মতো কোনো টাকা নেই, তাই আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে তিনি জুলাই মাস থেকে ৩৫ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আমরা সেখান থেকে আলোচনা শেষে ফিরে আসি।
ডা. নুরুন্নবী আরও বলেন, আমরা স্যারের কাছে একটি স্থায়ী সমাধান চেয়েছি, যাতে আমাদের বারবার রাস্তায় নামতে না হয়। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জুলাই থেকে ৩৫ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার। তবে আমরা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জানুয়ারি মাস থেকেই ৩৫ হাজার টাকা ভাতা দাবি করছি।
বিক্ষোভকারী চিকিৎসকরা সাধারণ মানুষের ভোগান্তিতে দুঃখপ্রকাশ করলেও, দাবি আদায়ে আর কোনো পথ খোলা নেই বলে জানান। তারা বলেন, বিগত সরকার জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ৩০ হাজার টাকা কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কার্যকর হয় ডিসেম্বরে এসে। এবার তারা কারও আশ্বাসে আন্দোলন ছেড়ে যাবেন না।
এর আগে বিকেলে সরকার ঘোষণা দেয়, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করা হবে, যা আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে। আপাতত ৩০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে এ সিদ্ধান্ত মেনে কাজে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও, শেষ মুহূর্তে আন্দোলনকারী অন্য চিকিৎসকদের চাপের মুখে তারা পুনরায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।