ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে দিল্লির জবাব পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ঢাকা।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তাগিদপত্র দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কূটনৈতিক প্রক্রিয়া জটিল এবং অনেক সময় সরাসরি উত্তর দেওয়া সম্ভব হয় না। আমরা আমাদের অনুরোধ জানিয়েছি এবং ভারতের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করব। এর মধ্যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা তা কূটনৈতিক রীতিনীতির ওপর নির্ভর করে।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ গত জুলাই মাসে বিক্ষোভের সময় গুম ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেখ হাসিনার পাসপোর্টও বাতিল করা হয়েছে।
ভারত এই পাসপোর্ট বাতিল সম্পর্কে অবগত কিনা জানতে চাইলে মুখপাত্র জানান, পাসপোর্ট বাতিলের তথ্য সংশ্লিষ্ট মিশনের মাধ্যমে সব দেশকে জানানো হয়। তবে এই প্রসঙ্গে আরও তথ্য জানতে কিছুটা সময় প্রয়োজন।
প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ হাইকমিশন দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক পত্র পাঠিয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এখনও কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি।
গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা সেখানে অবস্থান করছেন। এরমধ্যে তার ভিসার মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ড, গুম, ক্রসফায়ার, বিডিআর হত্যাকাণ্ড এবং শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এসেছে।
এ বিষয়ে জোরপূর্বক গুমের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ট্রাইব্যুনাল আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।