কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নাম বদলের দাবি
![Icon](https://www.jugerchinta24.net/uploads/settings/iconicon-2-1716039510.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
![কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নাম বদলের দাবি](https://www.jugerchinta24.net/uploads/2025/01/online/photos/sommelon-678237a4236a7.jpg)
শনিবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে ডিএই পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা’ শীর্ষক সভা। প্রবা ফটো
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) নাম পরিবর্তন করে কৃষি অধিদপ্তর করার দাবি জানানো হয়েছে। নাম পরিবর্তন কেন দরকার এ সম্পর্কে বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মো. রেজাউল ইসলাম (মুকুল) বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাম হওয়ায় আমাদের সম্প্রসারণের মধ্যে আটকে থাকতে হয়। কৃষি অধিদপ্তর নাম হলে কৃষি সেক্টর নিয়ে কাজ করা সহজ হবে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে ডিএই পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা’ শীর্ষক সভায় তিনি নাম পরিবর্তনের এ দাবি করেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক ও ডিএইর প্রশাসন ও অর্থবিষয়ক পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. সাহিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএইর মহাপরিচালক কৃষিবিদ ম. সাইফুল আলম। বক্তব্য রাখেন কৃষি ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক আহম্মেদ আলী চৌধুরী ইকবাল, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশিদ প্রমুখ।
সভায় মূল প্রবন্ধে মুকুল বলেন, স্বাধীনতা পর দেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে অথচ ফমলী জমি দিন দিন কমছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার, যান্ত্রিক চাষাবাদ, কৃষি উপকরণের যৌক্তিক ব্যবহারের ফলে শাকসবজি, ধান, আলু আমসহ বেশ কিছু কৃষিপণ্য উৎপাদনের দিক থেকে বিশ্বে শীর্ষ দশে বাংলাদেশ রয়েছে। গবেষণা উদ্ভাবিত সর্বশেষ কৃষি প্রযুক্তি কৃষকের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর পাশাপাশি মানসম্মত কৃষি পণ্য সার, বীজ, কীটনাশক, বালাইনাশককের মান নিয়ন্ত্রণ, কৃষিজ পণ্য আমদানি রফতানির নীতি নির্ধারণসহ কৃষি উন্নয়ন কর্মকান্ডে বিসিএস (কৃষি) ক্যাডার কর্মকর্তা কাজ করছেন।
তিনি বলেন, দেশে বিগত ৫২ বছরে জমির পরিমাণ কমেছে ৩০ শতাংশ কিন্তু উৎপাদন বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে ধানের উৎপাদন বেড়েছে ৩ দশমিক ৮ গুণ। গমের উৎপাদন বেড়েছে ১৭ দশমিক ২৭ গুণ ও ভুট্টায় বেড়েছে ২ হাজার ২৬৭ দশমিক ৬৭ গুণ বলে জানিয়েছেন কৃষিবিদ মো. রেজাউল ইসলাম মুকুল।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নুরে আলম সিদ্দিকী, বিসিএস কৃষি এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও ডিএই খামারবাড়ি ঢাকার ফোকাল পার্সন কৃষিবিদ মো. রেজাউল ইসলাম মুকুল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিবর্তে কৃষি অধিদপ্তর করার প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, আগের নামের কারণে শুধুমাত্র সম্প্রসারণেই সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে। আর শব্দটি বাদ দিলে সার্বিক কৃষির উন্নয়ন সম্ভব হবে। তাছাড়া বিসিএস কৃষি একাডেমি গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
তিনি জানান, ২০২৩ সালে দেশে ধান উৎপাদন হয়েছে ৪২১ মেট্রিক টন ও ২০৫০ সালে প্রয়োজন হবে ৫২০ টন, গম উৎপাদন হয়েছে ১১ দশমিক ৭২ টন, দরকার হবে ১৫ টন।
ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে ৬৮ দশমিক ৮ টন ও দরকার ৮৫ টন, ডাল উৎপাদন হয়েছে ৮ দশমিক ৪ টন ও দরকার হবে ১১ টন। তৈলবীজ উৎপাদন হয়েছে ২০ দশমিক ৬ টন ও দরকার হবে ২৫ টন এবং সবজি উৎপাদন হয়েছে ২৪১ টন ও ২০৫০ সালে দরকার হবে ৩০০ টন।
ডিএই পুণর্গঠনকে অগ্রাধিকার দরকার উল্লেখ করে নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সকলের মতামতের ভিত্তিতে ডিএই পুণর্গঠনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ডিএই পুণর্গঠনকে এমনভাবে করতে হবে যাতে আগামীতে ধান, আম, সবজিসহ ১০টি শস্যের মতো অন্যান্য শস্যেও শীর্ষ ১০ চলে আসব।